নিজস্ব প্রতিনিধি : পরিচারিকার ঘরে তাঁর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। সেই দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে এক পরিত্যাক্ত জায়গায় ফেলে দেন ওই পরিচারিকা। তাঁকে সাহায্য করেন মহিলার স্বামী ও ভাই। পুলিশ ওই দেহ উদ্ধার করে পরিচারিকা ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
মৃতের নাম বালা সুব্রামানিয়ন (৬৭)। তিনি কর্নাটকের জেপি নগরের পুতেনহাল্লি এলাকার ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তাঁর বাড়ির পরিচারিকার (৩৫) সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতেন না। দিনকয়েক আগে এক পরিত্যাক্ত জায়গা থেকে বালার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহটি কয়েকদিনের পুরনো এবং সেটি প্লাস্টিকে মোড়া ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে জেপি নগর থানার পুলিশ। তারপরই মৃতের আসল পরিচয় জানা যায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে গত ১৬ নভেম্বর বালা তাঁর নাতিকে ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নামিয়ে পরিচারিকার বাড়ি চলে যান। ফোন করে তিনি তাঁর শ্যালিকাকে বলেন, ব্যক্তিগত কাজ সেরে তাঁর বাড়ি আসতে কিছুটা দেরি হবে। তারপর থেকে ব্যবসায়ীর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি বাড়ি না ফেরায় সুব্রামানিয়নের বাড়ির লোক নিখোঁজের ডায়েরি করেন। কিছুদিন পর প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হলে জানা যায়, সেটি নিখোঁজ ব্যবসায়ীর। এরপরই রহস্যের জোট খোলে। পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সব তথ্য সামনে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৬ নভেম্বর নাতিকে নামিয়ে সোজা পরিচারিকার ঘরে চলে যান বালা। সেখানে তাঁর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন তিনি। সঙ্গম চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বৃদ্ধ। ওখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তখন মুশকিলে পড়েন তরুণী। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি চেপে দিতে চান তিনি। ফোন করে তিনি তাঁর স্বামী ও ভাইকে ডাকেন। সবাই মিলে যুক্তি করেন, দেহটিকে লোপাট করে দেওয়া হবে। সেইমতো দেহটি প্রথমে একটি বেডকভারে ঢেকে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে নেওয়া হয়। পরে দেহটি এক পরিত্যাক্ত জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই পরিচারিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।