নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজধানীর করোনাভাইরাস সংক্রমণ চিত্র ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বুধবারই দৈনিক সংক্রমণ যেমন হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে, তেমনই দীর্ঘদিন বাদে মারণ ভাইরাসের ছোবলে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। আর রাজধানীতে করোনার এমন বেলাগাম সংক্রমণের দায়ী ওমিক্রন প্রজাতি। করোনায় আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দিল্লিতে ওমিক্রন প্রজাতির নয়টি উপ প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। আর ওই নয় উপ প্রজাতিই তাণ্ডব চালাচ্ছে।
রাজধানীতে গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। সোমবার যেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০১ জন, সেখানে ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে বুধবার দৈনিক সংক্রমণ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে নতুন করে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করতে না পারে, তার জন্য বুধবার থেকেই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার না করলে জরিমানা ধার্য করারও শাস্তি ফেরানো হয়েছে।
আচমকাই রাজধানীতে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ বেলাগাম হল কেন, তার উত্তর খুঁজতে করোনা আক্রান্তদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করানোর ব্যবস্থা করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। ওই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার ওমিক্রন প্রজাতির নয়টি উপজাতি শনাক্ত হয়েছে আক্রান্তদের শরীরে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বিএ.২.১২.১ (BA.2.12.1) নামক উপ প্রজাতি। যদিও এখনও এক্সই প্রজাতি মেলেনি। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘একা ওমিক্রন প্রজাতিই যে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাতেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদি দোসর হয়ে এক্সই প্রজাতি তাণ্ডব চালাতে শুরু করে, তাহলে ফের লকডাউনের রাস্তায় হাঁটা ছাড়া বিকল্প কোনও পথ খোলা থাকবে না।’