এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জন গণ মন মমতাই! বলছে সমীক্ষাই

নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতটা না তৃণমূল ও বিজেপির লড়াই ছিল তার থেকেও অনেক বেশি তা মমতা বনাম মোদি-শাহ-নাড্ডাদের লড়াই ছিল। সেই লড়াইয়ে গোহারান হেরেছেন মোদি-শাহ-নাড্ডারা। আর তার জেরেই দেশজুড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হয়ে উঠেছেন মোদি তথা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান মুখ। তাঁকে ঘিরেই এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন দেশের মানুষ। মমতাই যে ভাবী ভারতের নেত্রী হয়ে উঠছেন ক্রমশ সেটা এর আগেই নানা সমীক্ষায় ধরা পড়ছিল। এবার তা ধরা পড়ল সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র করা এক সমীক্ষায়। ‘মুড অফ দ্য নেশন’ নামের এই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে দেশে এখন জনপ্রিয়তার নিরিখে মোদি ও বিজেপি বিরোধী মুখ হিসাবে এগিয়ে আছেন মমতাই। হু হু করে বাড়ছে তাঁর জনপ্রিয়তা, তুলনায় একই গতিতে নেমে চলেছে মোদির গ্রহণযোগ্যতা ও তাঁর জনপ্রিয়তা।

‘ইন্ডিয়া টুডে’ তাঁদের ‘মুড অফ দ্য নেশন’ সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সদ্য সদ্য। সেখানেই দেখা যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসাবে নরেন্দ্র মোদি উঠে এলেও তাঁর জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে। আর দেশে মোদি তথা বিজেপি বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হিসাবে মানুষের প্রথম পছন্দই বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার পরেই রয়েছেন আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারপরেই রয়েছেন রাহুল গান্ধী। এই সমীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে এখন ৬৩ শতাংশ মানুষ মোদিকেই পছন্দ করছেন দেশের নেতা হিসাবে। যদিও ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ‘ইন্ডিয়া টুডে’রই করা এক পৃথক সমীক্ষায় মোদির স্বপক্ষে ৭৮ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছিলেন। অর্থাৎ বিগত দেড় বছরে দেশে মোদির জনপ্রিয়তা কমেছে ১৫ শতাংশ। বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য এই তথ্যটুকুই যথেষ্ট।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৭ শতাংশ মানুষ মনে করছেন মমতাই পারবেন মোদি ও বিজেপিকে দেশের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে। তাই বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা দেশের অন্য সব নেতার চেয়ে এগিয়ে রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। তাঁরা মনে করেন মোদিকে টক্কর দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য মুখ মমতাই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি তথা মোদিকে হারাবার জন্য যে লড়াইটা দিয়েছেন ও যে ঐতিহাসিক জয়ের মুখ দেখেছেন তাকে কার্যত এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মানুষজন কুর্ণিশ জানিয়েছেন। কার্যত তারপর থেকেই এখন দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী মমতার জনপ্রিয়তা। অধিকাংশ বিরোধী দলই মমতার লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে। আর মমতার এই গ্রহণযোগ্যতার সামনেই ধাক্কা খেয়েছেন রাহুল গান্ধী।  তাঁকে নেমে যেতে হয়েছে তৃতীয় স্থানে।

গল্প এখানেই শেষ হয়নি। বিজেপির কাছে আরও ধাক্কা বাকি আছে। সমীক্ষার রিপোর্ট বলে দিচ্ছে দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যারা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন তাঁদের কাউকেই পছন্দ নয় দেশের জনতা। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও কেউ পছন্দ করছেন না। সমীক্ষার হিসাবে দেশের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক। নিজের রাজ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ৭১ শতাংশ। তারপরেই রয়েছেন মমতা। বাংলায় ৬৯.৯ শতাংশ মানুষ তাঁকে পছন্দ করেন। এই তালিকাতেই তৃতীয় স্থানে আছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। তালিকায় সপ্তম স্থানে আছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এক থেকে প্রথম ছয়ের মধ্যে ঠাঁই পাননি দেশের বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের ভোটের প্রাক্কালে এই সমীক্ষা এখন তাই মোদি-যোগীর ঘুম কাড়ার পক্ষে যথেষ্ট।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হরিয়ানার ৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা কংগ্রেসের, রোহতকে দীপেন্দ্র হুডা

দ্বিতীয় দফার ভোটে ইভিএম বন্দি হবে রাহুল গান্ধি-শশী থারুরের ভাগ্য

দ্বিতীয় দফায় ৩৯০ প্রার্থী ‘কোটিপতি’ আর ‘দাগি’ ২৫০ ভোট প্রত্যাশী

শুক্রবারের ভোটে ৪৫ কেন্দ্রে লাল সতর্কতা, সর্বাধিক আসন কেরলে

নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাড়ি থেকে উদ্ধার ২ শিশুর মৃতদেহ  

বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হেমন্ত পত্নী কল্পনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর