নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ওই গ্রেফতারের পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কী ইস্তফা দেবেন আম আদমি পার্টির জাতীয় সমন্বয়ক? গ্রেফতারের কয়েক মিনিট বাদেই আপের পক্ষ থেকে সব জল্পনায় জল ঢেলে জানানো হয়, গ্রেফতার হলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন কেজরিওয়াল। আর ওই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শুক্রবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অপসারণ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। শশীরঞ্জন কুমার সিংহ নামে এক আইনজীবী ওই মামলা দায়ের করেছেন। হোলির ছুটির পরে আদালত খুললে মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আবগারি কেলেঙ্কারি নীতি মামলায় গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া। গ্রেফতারের পরেও তাঁকে পদ থেকে সরাননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও দিল্লি হাইকোর্টে জামিন আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন মণীশ। আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁকে ইডির লাগাতার তলবে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছিলেন স্বয়ং কেজরিওয়াল। তাই তিনি গ্রেফতার হলে দেশের রাজধানীর রাজ্যপাট সামলানোর দায়িত্ব কাকে দেওয়া উচিত তা নিয়ে জনমত যাচাইয়ের পথে হেঁটেছিলেন। আপের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলেও কেজরিওয়ালেরই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা উচিত বলে দিল্লিবাসী তাদের অভিমত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কেজরির গ্রেফতারের পরেই আপের পক্ষ থেকে সেই জনমতের দোহাই পেড়ে জানানো হয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও বদল ঘটছে না। জেলে বসেই প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন ‘মাফলার ম্যান।’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জেলের ভিতরে থেকে কীভাবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেবেন কেজরি, কীভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির সিকি-আধুলি মাপের নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ‘শত্রু’ কেজরির ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন।