নিজস্ব প্রতিনিধি : নির্বাচনী জনসভায় দলের সুপ্রিমো প্রচারে এলে তাঁকে মালা কিংবা পুস্প স্তবক দিয়ে স্বাগত জানানোর চল আকছার দেখা যায়। এতে খুব একটা অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু দলের সুপ্রিমোকে যদি দামি উপহার দিয়ে স্বাগত জানানো হয়, সেই বিষয়টি অবশ্য খুব একটা দেখা যায় না। তবে এমনই ঘটনা ঘটেছে বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর জনসভায়। বিএসপি নেত্রীকে মঞ্চে স্বাগত জানানো হয় সোনার মুকুট দিয়ে। এছাড়াও মায়াবতীর জন্য ছিল আরও অনেক উপহার, যা মঞ্চে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার পিলিভিট লোকসভা কেন্দ্রের বীসলপুর এলাকায় ছিল বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জনসভা। মায়াবতী মঞ্চে ওঠার পর তাঁকে স্বাগত জানাতে আসেন পিলিভিট-বহেরী লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী আনিস আহমেদ খান। তিনি মায়াবতীকে একটি সোনার মুকুট উপহার দেন। দলীয় প্রার্থীর হাত থেকে সোনার মুকুট পেয়ে বেশ খুশি দেখাচ্ছিল মায়াবতীকে। মঞ্চেই আরেক নেতা বিএসপি সুপ্রিমোকে একটি অশোক স্তম্ভের প্রতিলিপি উপহার দেন। পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত প্রত্যেক নেতাই কিছু না কিছু উপহার দিয়েছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, মায়াবতী যখন মঞ্চে ছিলেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত কোনও নেতা-নেত্রীকে জুতো-চটি পড়তে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের এই পিলিভিট কেন্দ্রটি রাজনৈতিকদিক থেকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই পিলিভিট কেন্দ্র থেকেই সাতবার ভোটে লড়ে জিতেছিলেন মেনকা গান্ধী ও তাঁর ছেলে বরুণ গান্ধী। কিন্তু এবারে অবশ্য এই কেন্দ্র থেকে অবশ্য বরুণ গান্ধীকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বরুণ গান্ধীর পরিবর্তে এই কেন্দ্রে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে জিতিন প্রসাদকে। বিজেপি ছাড়াও মায়াবতীর দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছেন সমাজবাদী পার্টি ভগবত সরণ গাঙ্গওয়ার। আগামী ১৯ এপ্রিল এই কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার জনসভা করে সাধারণ মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করলেন মায়াবতী।