নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভার পরে রাজ্যসভাতেও আদানি ইস্যুতে মৌনতাকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সরকারের উন্নয়নের লম্বা-চওড়া ফিরিস্তি তোলার পাশাপাশি কংগ্রেসকে তুলোধনা করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে গান্ধি-নেহরু পরিবারকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করলেন। আদানি সম্পর্কে মোদি নীরব থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ ভাষণের সময়ে বিরোধী দলের সাংসদরা লাগাতার ‘মোদি-আদানি ভাই ভাই’ স্লোগান দিয়ে গেলেন।
রাষ্ট্রপতি ভাষণের উপরে এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতেই বেশি সময় ব্যয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘ছয় দশক ক্ষমতায় থাকা সত্বেও দেশের সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধান করেনি কংগ্রেস। শুধু দেশকে দুর্নীতি উপহার দিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদরা অভিযোগ করছেন আমরা নাকি বিরোধী শাসিত রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করছি। ওরা ভুলে গিয়েছেন, ইন্ধিরা গান্ধির আমলে ৫০ বারের বেশি ৩৫৬ ধারা জারি করে বিরোধী সরকার ভাঙা হয়েছে। কেরলে বামপন্থীদের সরকার ভেঙেছে। অন্ধ্রপ্রদেশে এন টি রামা রাওয়ের সরকারকে ভেঙে দিয়েছে।’ কংগ্রেসকে ঠুকতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশ কোনও পরিবারের জমিদারি নয়। যে ওই পরিবারের বাইরে কেউ দেশের শাসন ক্ষমতা চালাতে পারবে না।’
এদিন প্রধানমন্ত্রীর নাতিদীর্ঘ ভাষণ ছিল ‘আমিত্বময়।’ তিনি ছাড়া যে বিজেপি কার্যত অস্তিত্বহীন তাও পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন স্বঘোষিত ৫৬ ইঞ্চির ছাতির মালিক। মোদির কথায়, ‘গোটা দেশ দেখছে, এক মোদি কীভাবে গোটা বিরোধী শিবিরের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ বিরোধীরা শুধু শুধু তাঁর সরকারের বদনাম করছে বলে অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীদের হাতে কাদা ছাড়া আর কিছু নেই। তাই দুই হাতে কাদা ছুড়ছে। কিন্তু জেনে রাখুন, যত কাদা ছুড়বেন ততই পদ্ম (বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক) প্রস্ফুটিত হবে।’