নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোমবার ৯৪-এ পা দিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। আর তাই তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আডবাণীর বাসভবনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি আডবাণীকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। পাশাপাশি বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি টুইটও করেন নরেন্দ্র মোদি।
এদিন মোদি টুইটে লেখেন, ‘আডবাণীজিকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন সুস্থ থাকেন। পাশাপাশি তাঁকে এটাও জানাতে চাই যে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির গৌরব বৃদ্ধিতে তাঁর যে অবদান রয়েছে তার জন্য দেশবাসী তাঁর কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে।’ পাশাপাশি এদিন আডবাণীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে এদিন মোদি লেখেন, ‘আডবাণীজি নিজের অপার জ্ঞান এবং পাণ্ডিত্যের জন্য সর্বস্তরেই প্রশংসিত হয়েছেন।’
উল্লেখ্য, এই লালকৃষ্ণ আডবাণীই কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদে সবথেকে বেশী সময় ধরে বহাল ছিলেন। আডবাণী এবং অতলবিহারীর জুটির যে জনপ্রিয়তা তার ধারে কাছেও নেই মোদি-শাহের রসায়ন। এমনকি দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা হয় আডবাণী ঘনিষ্ঠ অনেকেরই অভিযোগ যে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর থেকেই ক্রমশ আডবাণীকে কোণঠাসা করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ফলে ক্রমশ দলীয় কর্মসূচী থেকেও ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন প্রবীণ এই বিজেপি নেতা। কিন্তু এখন নিজের দলেই চাপ বেড়েছে মোদি-শাহের। এই চাপ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে এখন আডবাণী ঘনিষ্ঠদের নিজেদের পাশে পেতে চাইছেন নমো। তাই রাজনীতিবিদদের দাবি, শুধুমাত্র জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আডবাণীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও আসলে কিন্তু নরেন্দ্র মোদি আডবাণী ঘনিষ্ঠদেরই বার্তা দিতে চাইছেন পরোক্ষভাবে।