নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। চলতি লোকসভা ভোটে দুই ‘ম’ অর্থাৎ মাদক ও টাকার রমরমা ঠেকাতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। গত ১ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে নগদ, মাদক ও উপহার সরঞ্জাম মিলিয়ে ৪,৬৫০ কোটি মূল্যের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ইতিহাসে এত পরিমাণ নগদ-মাদক অতীতে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন যা বাজেয়াপ্ত করেছে তা কিছুই নয়। এর কয়েকশো গুণ টাকা খাটছে ভোট বাজারে।
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে গত ১ মার্চ থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ টাকা, মদ ও উপহার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। তার পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি নগদ টাকা, মদ, সোনা-রুপোর অলঙ্কার সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী। সোমবার নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নগদ, মদ, উপহার সামগ্রী মিলিয়ে মোট ৩,৪৭৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই গত বারের রেকর্ড ভেঙেছে।
২০১৯ সালের ভোটে ১,২৭৯.৯ কোটি টাকার মদ ও মাদকজাত দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর এবার ইতিমধ্যেই ২,০৬৮.৮ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে অবৈধ অর্থ ও মদ বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে অনেকটাই নিস্ক্রিয় ইডি-সহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। ‘প্রভুভক্তি’ দেখাতে গিয়ে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের গাড়িতে ঠিকমতো তল্লাশি চালাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।