নিজস্ব প্রতিনিধি, চণ্ডিগড়: শিক্ষাকে রীতিমতো ব্যবসায় পরিণত করে চলেছে তথাকথিত বেসরকারি স্কুলের কর্ণধাররা। নানা অছিলায় রীতিমতো জোরজবরদস্তি করে অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ফি। বাড়তি ফি দিতে দিতে কার্যত নাজেহাল হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। শেষ পর্যন্ত অভিভাবকদের পরিত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান। বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করে তিনি জানিয়েছেন, ‘চলতি শিক্ষা বর্ষে কোনও মতেই ফি বাড়াতে পারবে না বেসরকারি স্কুলগুলি।’
এদিন এক ভিডিও বার্তায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল, শিক্ষার অধিকার ক্রমশই সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সব অভিভাবকরাই চান, সন্তানদের শিক্ষিত করে তুলতে। কিন্তু স্কুলের বর্ধিত ফি তাঁদের সেই স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ একদিকে বছর বছর টিউশন ফি বাড়িয়ে চলেছে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট দোকান থেকেই অভিভাবকদের বই-খাতা, পোশাক সহ শিক্ষার যাবতীয় সরঞ্জাম কিনতে বাধ্য করছে। এ জিনিস বেশিদিন চলতে দেওয়া যাবে না।’
ওই ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘চলতি শিক্ষা বর্ষে কোনও মতেই টিউশনি ফি বাড়াতে পারবে না বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ। যে ফি চালু রয়েছে, তাই নিতে হবে। পাশাপাশি পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা যে কোনও দোকান থেকে নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক ও ইউনিফর্ম যাতে কিনতে পারেন, তাও নিশ্চিত করতে হবে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষকে।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে যেমন স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা, তেমনই খুশিতে মেতে উঠেছেন সাধারণ নাগরিকরাও। শিক্ষাবিদদের মতে, ‘রাজ্যের শিক্ষার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’