নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার লখিমপুরে হওয়া কৃষক ‘হত্যার’ প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সরগরম দেশ। এই ঘটনার জেরে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে লখিমপুরের খেরিতে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এমনকি ওই এলাকায় কোনও রাজনৈতিক নেতাকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যদিও পুলিশের এরুপ আচরণের প্রতিবাদে রবিবার মধ্যরাত থেকেই সরব হয়েছেন কংগ্রসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। ওইদিন রাতেই মৃত কৃষকদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কিন্তু মাঝপথেই তাঁকে আটকে দেন যোগীর পুলিশ। এমনকি তাঁকে সিতাপুরের একটি ‘বন্দিশিবিরে’ আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু বন্দি অবস্থাতেও থেমে থাকতে নারাজ সোনিয়া কন্যা। আর তাই ‘বন্দিশিবির’ ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করে যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে একপ্রকার সত্যাগ্রহ ঘোষণা করেত দেখা গেল তাঁকে।
সোমবার সকালেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধি জানিয়েছিলেন, তাঁকে অনৈতিকভাবে আটকে রেখেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনকি তাঁদের কাছে কোনও লিখিত পরোয়ানাও নেই। এখানেই শেষ নয়, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেছেন, তাঁকে সরানোর জন্য বারংবার ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। এরপরেই তাঁকে সিতাপুরের কাছে একটি জায়গায় বন্দি বানিয়ে রাখা হয়েছে।
সেই ‘বন্দিশিবির’ নিয়েই একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা তথা কংগ্রেস দল। ওই বন্দিশিবিরের একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ঝাঁটা হাতে একটি ঘর পরিষ্কারের কাজে নেমেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। কংগ্রেসের তরফেই ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এনে বলা হয়েছে, প্রিয়াঙ্কাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেই ঘরটি এতটাই অপরিষ্কার যে থাকতে না পেরে প্রিয়াঙ্কা নিজেই ঘর পরিষ্কার করতে শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘প্রিয়াঙ্কাকে যে ঘরটিতে থাকতে দেওয়া হয় সেটি অত্যন্ত অপরিষ্কার ছিল। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এই বিষয়ে একটা কথাও না বলে চুপচাপ ঝাঁটা তুলে নিয়ে ঘর ঝাঁট দিতে শুরু করেন।’