নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা ভোটে মোদি সরকারকে জেতাতে নখদাঁত বের করে আসরে নামার অভিযোগ উঠেছে ইডি, সিবিআই, এনআইএ ও আয়কর দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। বিশ্বাসযোগ্যহীন হয়ে ওঠা চার সংস্থার প্রধানের অপসারণের দাবিতে সোমবারই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের তিন শীর্ষ কর্তার সঙ্গে বৈঠকেরব পরেই কমিশন দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের ১০ নেতা-নেত্রী। ২৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসার ঘোষণা করেন তাঁরা। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই তৃণমূল প্রতিনিধিদের উপরে ঝাঁপিয়ে পরে অমিত শাহের ‘পোষ্য ভৃত্য’ দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। টেনে হিঁচড়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ডেরেক ও’ব্রায়েন-সাগরিকা ঘোষদের। এমনকি তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের তুলে নেওয়ার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ দিল্লি পুলিশের বেশ কয়েকজন জওয়ানের বিরুদ্ধে।
লোকসভা ভোটের মুখে আচমকাই বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে মোদি সরকারের পোষ্য ভৃত্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। ভূপতিনগরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র ভূমিকা নিয়ে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেল চারটের সময়ে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ১০ নেতা-নেত্রী। দলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ, বিবেক গুপ্ত, অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুদীপ রাহা। কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ দোলা জানান, ‘কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ন্যক্কারজনক ভূমিকা নিয়ে নালিশ জানানো হয়েছে। নিরপেক্ষ ও অবাধ ভোটের স্বার্থে ওই চার সংস্থার প্রধানকে বদল করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেননা, ওই চার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিজের কাজে ব্যবহার করছে বিজেপি।’
এর পরেই কমিশনের দফতরের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ঘোষণা করেন, টানা ২৪ ঘন্টা ধর্নায় বসে থাকবেন। কিন্তু কয়েক মিনিট যেতে না যেতেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে দিল্লি পুলিশের জওয়ান-আধিকারিকরা। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে, টেনে হিঁচড়ে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বাসে তুলে দেওয়া হয়।