নিজস্ব প্রতিনিধি, চণ্ডিগড়: তিনি দলিত সম্প্রদায়ের। আর ক্যাপ্টেন অমররিন্দর সিংকে সরিয়ে তাঁর হাতেই পঞ্চ নদের তীরের রাজ্যপাট সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছিল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু বিধানসভার ভোটে দলকে জেতানো তো দূরের কথা, দুই আসনে দাঁড়িয়েও জিততে পারলেন না পঞ্জাবের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। চমকাউর সাহেব ও ভাদাউর আসন থেকে হেরে গিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট হয়েছিল, তার মধ্যে তিন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ফের জয়ী হয়েছেন। যে দুজন জিতে পারেন তার মধ্যে অন্যতম পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।
বিধানসভা ভোটের মাত্র কয়েক মাস আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধূর ব্ল্যাকমেলিংয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে হঠিয়ে দলিত সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে পরিচিত চরণজিৎ সিং চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। আশায় ছিলেন, রাজ্যের ৩৮ শতাংশ দলিত ভোটের অধিকাংশের সমর্থন পাওয়া যাবে। কিন্তু চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারেননি দলেরই অধিকাংশ নেতা। উল্টে ভোটের সময়ে উত্তর ভারতীয়দের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে তিনি দলকে অনেকটাই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন।
পঞ্চ নদের তীরের রাজ্য যে কংগ্রেসের দখলে থাকছে না, তা বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই পরিস্কার হয়েছিল। কিন্তু এমনভাবে যে ধুয়েমুছে যাবে, তা কেউ কল্পনা করতে পারেননি। খোদ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি দুই আসনে হেরেছেন। ভাদাউর আসনে ৩৭ হাজার ৫০০ ভোটে আম আদমি পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরেছেন। চমকাউর সাহেব আসনে আপ প্রার্থীর কাছে হার মানতে হয়েছে তাঁকে।
শুধু যে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হেরেছেন, তা নয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু সহ অধিকাংশ মন্ত্রী ধরাশায়ী হয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ সাইনি, সুখজিন্দর রণধাওয়া, বিজয় ইন্দর সিংলা, পারগত সিংয়ের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীরা হেরে গিয়েছেন। এমন ভরাডুবির পরে পঞ্জাবে কংগ্রেসের কামব্যাক করা অসম্ভব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।