নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে লোকসভায় সরব হলেন রাহুল গান্ধি। মঙ্গলবার লোকসভায় বাজেট বিতর্কে অংস নিয়ে শাসক শিবিরকে লক্ষ্য করে একের পর এক প্রশ্নবান ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ধনী তালিকায় বিশ্বে ৬০৯ নম্বরে ছিলেন আদানি। কীভাবে সেখান থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ধনী হলেন? ধুমকেতুর মতো উত্থানের পিছনে রহস্য কী? কতবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফর করেছেন আদানি? প্রধানমন্ত্রী যে সব দেশ সফরে গিয়েছেন সেখানে কী কী টেন্ডার পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী? গত ২০ বছরে বিজেপির তহবিলে কত টাকা দিয়েছেন?’ মোদির সঙ্গে আদানির ঘনিষ্ঠতা বোঝাতে পোস্টারও তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। তবে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বারণ করায় সেই পোস্টার আর তুলে ধরেননি রাহুল।
এদিন বাজেট বিতর্কের শুরু থেকেই গৌতম আদানির ফুলেফেঁপে ওঠা নিয়ে আক্রমণ শানাতে থাকেন রাহুল। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘আমি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হেঁটেছি। সর্বত্রই একটা নাম শুনেছি, আদানি, আদানি, আদানি। আজ দেশের যে কোনও প্রান্তের যে কোনও রাস্তা দিয়ে যান না কেন, জিজ্ঞেস করুন, কে বানিয়েছে? জবাব মিলবে-আদানি। হিমাচল প্রদেশ তো আদানির নিজস্ব রাজ্য হয়ে গিয়েছে? ২০১৪ সালে যখন মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, তখন সম্পদের নিরিখে ৬০৯ নম্বরে ছিলেন আদানি। কোন জাদুতে সাত বছরে ২ নম্বরে উঠে এসেছিলেন? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানির কিসের সম্পর্ক?’ রাহুল যখন একের পর এক প্রশ্নবান ছুঁড়ছেন তখন কংগ্রেস সাংসদরাও তাঁকে সমর্থন করে স্লোগান তুলেছেন, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়?’
শুধু আদানিকে নিয়েই নয় সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর প্রকল্প চালু নিয়েও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাহুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক বলেছেন, অগ্নিবীর ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনও প্রকল্প নয়। সেনার উপরে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে এই প্রকল্প আরএসএসের মগজপ্রসূত।’