নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘মোদি পদবি’ মন্তব্য মামলায় শীর্ষ আদালতে বড়সড় স্বস্তি পেলেন রাহুল গান্ধি। শুক্রবার গুজরাতের নিম্ন আদালতের সাজার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধিন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সাজা স্থগিত রাখলেও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট সাজা স্থগিত রাখায় ফের সাংসদ পদ ফেরত পেতে চলেছেন রাজীব তনয়।
এদিন মামলার শুনানির সময়ে সুরাতের নিম্ন আদালত কেন ফৌজদারি মামলায় সর্বোচ্চ সাজা শুনিয়েছে তা নিয়ে বিচারক কোনও ব্যাখ্যা না দেওয়ায় উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতিরা। এমনকি রাহুলের আর্জি খারিজ নিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের রায়কে ‘চমকপ্রদ’ বলেও পর্যবেক্ষণ মন্তব্য করেছেন বিচারপতিরা।
পাঁচ বছর আগে কর্নাটকের কোলারে এক নির্বাচনী সভায় নীরব মোদি, ললিত মোদি, মেহুল চোকসিদের টাকা লুঠ করে দেশত্যাগ নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব চোরের পদবি কেন মোদি হয়?’ ওই মন্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে সুরাত আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন গুজরাতের সুরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। ওই মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের জেলের সাজা শোনান সুরাতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওই রায়ের পরের দিনই নজিরবিহীন তৎপরতায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদপদ খারিজ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
সুরাতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৩ এপ্রিল সুরাত সেশনস আদালতের দ্বারস্থ হন রাহুল। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও ২০ এপ্রিল রাজীব তনয়ের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। সেশনস কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন ওয়ানাডের প্রাক্তন সাংসদ। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি। অবশেষে দুই মাস কেটে যাওয়ার পরে গত ৭ জুলাই রায় দিতে গিয়ে রাহুলের আর্জি খারিজ করে দেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।