নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামছে কংগ্রেস। আগামী ১২ জুলাই প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে মৌন সত্যাগ্রহে বসবেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ‘সংসদের বাদল অধিবেশনে সরকারের সঙ্গে যে সঙ্ঘাতের রাস্তাতেই হাঁটবে কংগ্রেস, তা স্পষ্ট হয়েছে দেশজুড়ে মৌন সত্যাগ্রহের কর্মসূচিতেই।’
মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের দায়ে সুরাতের নিম্ন আদালত দুই বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকে। ওই সাজা স্থগিতের আর্জি জানানোর আগেই বেনজির তৎপরতায় রাজীব তনয়ের সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। যদিও ওই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলেই অভিযোগ কংগ্রেস নেতৃত্বের। তাঁদের অভিযোগ, ‘রাহুলের মুখ বন্ধ করতে নোংরা পথ অবলম্বন করছে শাসক দল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহ-ই চাইছেন রাজীব তনয়কে ভারতের রাজনীতি থেকে মাইনাস করে দিতে।’
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে ১২ জুলাই প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে মৌন সত্যাগ্রহে বসার কথা জানিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রায় আম জনতার বিপুল সাড়ায় ঘাবড়ে গিয়েছেন মোদি-শাহ জুটি। মোদি-আদানি গোষ্ঠীর গোপন সম্পর্ক ফাঁস করে দিয়েছিলেন। তাই রাহুলের ভোটে লড়া আটকাতে নোংরা খেলা খেলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপির মুখোশ খুলে দিতে বুধবার বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানীতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মৌন সত্যাগ্রহ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’