নিজস্ব প্রতিনিধি,নয়াদিল্লি: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের উদ্ধারকার্য শেষ হয়েছে। আটকে পড়া সব যাত্রীকেই উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকার্য শেষের পরে রেললাইন পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করার চেষ্টা শুরু হবে। আজ শনিবার এ কথা জানিয়েছেন রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা। যদিও দুর্ঘটনায় কত যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন তিনি। তবে ওড়িশা দমকলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধেয় বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় ২৮০ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ৯০০’র বেশি যাত্রী। দুর্ঘটনার ঘন্টাখানেকের মধ্যে শুরু হয় উদ্ধারকার্য। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ উদ্ধারকার্য শেষ হয়। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এনডিআরএফের জওয়ানদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হয়। সেনার মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটকে কাজে লাগানো হয়। এমনকী এদিন সকালে আহতদের উদ্ধারে বায়ুসেনার এম-১৭ কপ্টারের সাহায্য নেওয়া হয়।
ঢাকঢোল পিটিয়ে দুর্ঘটনা রুখতে ‘কবচ’ প্রযুক্তি চালু করেছিল রেল মন্ত্রক। এমনকী দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘অকর্মণ্য’ হিসেবে পরিচিত রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ওই প্রযুক্তির ট্রেনে চেপে সাংবাদিকদের সামনে পোজ-ও দিয়েছিলেন। শুক্রবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে, কোথায গেল ‘কবচ’ প্রযুক্তি। যদিও রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র এদিন সাফাই দিয়ে বলেছেন, যে রুটে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই রুটে ‘কবচ’ প্রযুক্তি চালু ছিল না।
’