নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাইক র্যালিতে পাথর ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকেই ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়েছে রাজস্থানের কারাউলিতে। শনিবার বিকেলে কারাউলির একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নব সম্বৎসর (হিন্দু ক্যালেন্দারের নববর্ষ) উপলক্ষে একটি বাইক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ওই র্যালিতে পাথর নিক্ষেপ করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি এবং ক্রমে তা একটি সাম্প্রদায়িক অশান্তির রুপ নেয়। এর জেরে শনিবার থেকে ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে কারাউলির ওই এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবিবার সকাল থেকেই সেখানে কার্ফু জারি হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও গুজব না ছড়ায় তার জন্য বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইতিমধ্যেই ৫০ জন ডিএসপি ও ইন্সপেক্টরকে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, শনিবার ওই এলাকা দিয়ে যখন বাইক র্যালি করছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্য ঠিক তখনই তাঁদের লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে কয়েকজন ব্যক্তি। এই ঘটনায় ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহতও হন। এরপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। উত্তেজিত জনতা কয়েকটি দোকান পুড়িয়ে দেয় এবং একটি বাইকও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আরও বেশ কয়েকটি বাইকে। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির রুপ নেয় গোটা এলাকা। জানা যাচ্ছে, এই হিংসার ঘটনায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনকে আটক করছে। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় যাতে আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য এই মুহূর্তে ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, এই ঘটনায় যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তিনি বলেছেন, কিছু সমাজবিরোধী মহল পরিবেশ নষ্ট করছে এবং পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তিনি ওই এলাকার বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।