নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সাজার মেয়াদ শেষের আগে মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজীব-ঘাতক নলিনী। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি বিভি নাগারিথার এজলাসে তিনি আবেদন জানিয়েছেন। আদালত সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, একই মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরপি রবিচন্দ্রণও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
সাজার মেয়াদ শেষের আগে মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নলিনী শ্রীহরণ। দায়ের হওয়া আর্জিতে তিনি তুলে ধরেন এই মামলায় দোষী এজি পেরারিভালানের মুক্তির প্রসঙ্গ।যদিও মাদ্রাজ হাইকোর্টে সেই আর্জি নাকচ করে দেয়। একই আর্জি নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রবিচন্দ্রণ। মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁরও আর্জি নাকচ করে দেয়। মামলা খারিজ করতে গিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট উল্লেখ করে ভারতীয় সংবিধানের ২২৬ ধারা, যে ধারায় বলা হয়েছে, এই ধরনের মামলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে একমাত্র সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্ট ১৪২ নম্বর ধারায় এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। গত ১৮ মে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধান প্রদত্ত বিশেষ অধিকারের দৌলতে পেরারিভরনের মুক্তির নির্দেশ দেয়। পেরারিভরণ ৩০ বছর জেলে ছিলেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় রাজীব গান্ধির। ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যায় চারজনের নাম – পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থন এবং নলিনীর। আদালত এই চারকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। ২০১০ সালে নলিনীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা মকুব করে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয় আদালত। নলিনী এবং রবিচন্দ্রণের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষায় সকলে।