নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি সামান্য কমল। জানুয়ারিতে যেখানে খুচরোর মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, গত মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সহনশীলতাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ফেব্রুয়ারির খুচরো মূল্যস্ফীতি। ফলে স্বস্তি মেলেনি।
গত বছরের শুরু থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিঃশ্বাস উঠেছিল দেশের সাধারণ মানুষের। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেলাগাম হয়ে উঠেছিল। মুদ্রাস্ফীতি রুখতে গত মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার রেপো রেট বাড়ানোর পথে হাঁটে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এমনকী মূল্যবৃদ্ধের সহনশীলতার মাত্রা ৬ শতাংশে বেঁধে দেয়। গত বছরের নভেম্বরে স্বস্তি দিয়ে প্রথম বার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশ সহনসীমার নীচে নেমেছিল খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। এগারো মাসে যা ছিল সর্বনিম্ন।
কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি এক লাফে সাড়ে ছয় শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মূলত খাদ্যদ্রব্য থেকে শাক-সবজির আকাশ ছোঁয়া দামের কারণেই খুচরো মূল্যস্ফীতি গগনচুম্বী হয়ে উঠেছিল। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে আলু, টমেটো, পেয়াজ সহ শাকসবজির দাম অনেকটাই কমছিল। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি খানিকটা লাঘব হয়েছে। তবে আলু-পেঁয়াজের দাম কমলেও আটা-ময়দা কিংবা চালের মতো খাদ্যদ্রব্যের দাম কমেনি। ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা কমছে। খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কবে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে তার ইঙ্গিত দিতে পারেননি অর্থনীতিবিদরা।