নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দলে তাঁর ভূমিকার কথা জানতে বৃহস্পতিবার সোজা সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করলেন সচিন পাইলট। রাজস্থানে পরের বছর ভোট। তার প্রেক্ষিতে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন দলের এই সৈনিক। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ২০২০ সালে তাকে দুটি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত দু বছর কার্যত পদহীন অবস্থায় রয়েছেন এই নেতা।
সচিন পাইলট রাহুল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আগে সচিন ছাড়াও আরও অনেকে ছিলেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জিতিন প্রসাদ, আরপিএন সিং। এরা সকলেই জার্সি বদল করে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছেন। সচিন পাইলট সেই পথ অনুসরণ করেননি। সূত্রের খবর, সনিয়ার সঙ্গে এদিনের বৈঠকে পাইলট জানিয়েছেন, যে পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই দুটি পদের একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি তিনিই।
এখনও পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে সচিন পাইলটকে তাঁর ভূমিকার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। সূত্রের খবর খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে শীর্ষ নেতৃত্বে সিদ্ধান্তের কথা সচিন পাইলটকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে পাইলট দেখা করেন রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধির সঙ্গে। সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি দলের ভিত কী করে আরও মজবুত করা যায় তা নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। গুজরাত এবং হিমাচলপ্রদেশে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন। সব মিলিয়ে এদিন সনিয়ার সঙ্গে সচিন পাইলটের বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন স্বাধীনতার পর প্রথম, উত্তরপ্রদেশ বিধান পরিষদেও শূন্য হচ্ছে কংগ্রেস