নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপিকে টেক্কা দিল তৃণমূল(TMC)। টেক্কা দিল কংগ্রেসকেও(INC)। রাজ্যসভায় বাংলার যে ৫টি আসন ফাঁকা হচ্ছে তাতে রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা অনুযায়ী তৃণমূল ৪টি ও বিজেপি ১টি আসনে অনায়সে তাঁদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দিল্লি পাঠাতে পারবে। যদি না ষষ্ঠ কেউ প্রার্থী হচ্ছেন, তাহলে বিনা নির্বাচনে দুই দলের ৫জন প্রার্থী বাংলা থেকে পাড়ি জমাবেন রাজ্যসভার পথে। দেখা যাচ্ছে সেই জায়গায় দুই দফায় বিজেপিকে টেক্কা দিল তৃণমূল। এক তো তাঁদের থেকে বেশি সংখ্যায় প্রার্থী দিয়ে এবং দুই তাঁদের আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়ে। তবে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় অবশ্যই বড় চমক ৩টি। একধাক্কায় ৩জন সদস্যকে ফের টিকিট না দেওয়া, মতুয়া মুখ হিসাবে মমতাবালা ঠাকুরকে তুলে ধরে এবং সব থেকে বড় চমক কংগ্রেসি পরিবারে বড় হয়ে ওঠা সাংবাদিক ও লেখিকা সাগরিকা ঘোষকে(Sagarika Ghosh) রাজ্যসভায় দলের প্রার্থী করা।
এদিন তৃণমূল রাজ্যসভার ৪ আসনে যে ৪জনের নাম ঘোষণা করেছেন তাঁদের মধ্যে সব থেকে বেশি অপরিচিত মুখ হলেন সাগরিকা। কেননা এর আগে তিনি কোনওদিন রাজনীতির মাঠে পা দেননি। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কোনও প্রচারে নামেননি। এবার সরাসরি তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন। ব্যক্তিগত পরিচয়ের দিকে পিছিয়ে থাকলেও তাঁর পারিবারিক পরিচিতি কিন্তু খুব খারাপ নয়, বরঞ্চ তা বেশ ইর্ষাণীয়। সাগরিকা সাংবাদিক রাজদীপ সারদেশাইয়ের স্ত্রী। সাগরিকার বাবা ভাস্কর ঘোষ রাজীব গান্ধির প্রধানমন্ত্রীত্বকালে কেন্দ্র সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। সাগরিকার দুই পিসির একজন রুমা পাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। অপর পিসি অরুন্ধতী ঘোষ রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন। েহেন পরিবারের মেয়ে সাগরিকা বেড়েই উঠেছেন কংগ্রেসি পরিমন্ডলে। লিখেছেন ইন্দিরা গান্ধিকে নিয়ে বই। যার নাম ‘INDIRA, Indias Most Powerful Prime Minister’। সেই সাগরিকা হয়ে গেলেন তৃণমূলের প্রার্থী।
অস্বীকার করার উপায় নেই সাগরিকাকে প্রার্থী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) আদতে কংগ্রেসকেই বার্তা দিলেন। কেননা যে ৫টি আসন এবারে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় ফাঁকা হচ্ছে তার মধ্যে একটি আসনে ৬ বছর সাংসদ ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। মমতা অনায়াসে তাঁকে ফের প্রার্থী করতে পারতেন। সেক্ষেত্রে সিংভিকে হয়তো তৃণমূলে যোগ দিতে হতো। যা সম্ভবত সিংভি করতে চাননি। কিন্তু সাগরিকার তা করতে বাধা নেই। কেননা দেশের একতা বড় অংশের নানা মহল মোদি জমানায় ইন্দিরার ছায়াই দেখতে পান মমতার মধ্যে। সেই মমতারই প্রার্থী হতে সাগরিকা যে অপ্রস্তুত হবে না সেটা না বোঝার কারণ নেই।