নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে তৈরী হওয়া নিম্নচাপ মিচাউং ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়ে গিয়েছে। রবিবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে মিচাউং। ঘূর্ণিঝড় ‘মিচাউং’-এর প্রভাবে পুদুচেরি, কারাইকাল ও ইয়ানাম অঞ্চলের সমস্ত স্কুলগুলিতে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
স্কুল এডুকেশন ডিরেক্টর পি প্রিয়তারশিনি শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ৪ ডিসেম্বর উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মিচাউং-র আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুদুচেরি এবং আশেপাশের কয়েকটি অঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (1 নভেম্বর) সচিব রাজীব গৌবার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এনসিএমসি) বঙ্গোপসাগরে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মিচং’ মোকাবেলায় রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও বিভাগগুলির প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছে। বৈঠকে জানানো হয়, জেলেদের সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত আশ্রয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ, ওষুধ ও জরুরি সেবা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পুদুচেরিতে ১৮ টি দল প্রস্তুত রেখেছে এবং অতিরিক্ত ১০ টি দলও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোস্ট গার্ড, সেনা ও নৌবাহিনীর উদ্ধার ও ত্রাণ দল, জাহাজ ও বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ২ ডিসেম্বর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং ৩ ডিসেম্বরের দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৪ ডিসেম্বর দুপুর নাগাদ দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে পৌঁছাবে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) শনিবার, ২ ডিসেম্বর পন্ডিচেরিতে বজ্রপাত এবং ৩ ও ৪ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এদিকে আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী চার দিন উত্তর তামিলনাড়ুর বেশিরভাগ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।