নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: সপ্তাহের শুরুতেই ফের রক্তস্নাত শেয়ারবাজার। একদিনেই ৮৪৫.১২ পয়েন্ট খোয়াল সেনসেক্স। যার ফলে ৭৪ হাজারের ঘর থেকে নেমে গিয়েছে ৭৩ হাজারের ঘরে। নিফটি খুঁইয়েছে ২৪৬.৯০ পয়েন্ট। শেয়ারবাজারে ধস নামায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা গায়েব হয়েছে। পর পর দুই দিনে সেনসেক্স দেড় হাজার সূচক খোয়ানোয় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
টানা কয়েকদিন অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটে চলার পর গত শুক্রবার মুখ থুবড়ে পড়েছিল শেয়ারবাজার। একদিনেই ৭৩৯ সূচক খুঁইয়েছিল সেনসেক্স। ফলে বিনিয়োগকারীরা সোমবার বাজারের দিকে হা-পিত্যেশ নয়নে তাকিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন সকালে আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৯০০ পয়েন্ট কম নিয়ে রেড জোনে থেকেই লেনদেন শুরু হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। বেলা গড়াতে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খানিকটা ঘুরে দাঁড়ায় সেনসেক্স। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষের দিকে ফের নিচের দিকে নামতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ৮৪৫.১২ সূচক খুঁইয়ে ৭৩, ৩৯৯.৭৮ পয়েন্ট নিয়ে বন্ধ হয় সেনসেক্স। আর ২৪৬.৯০ সূচক কমে নিফটি বন্ধ হয় ২২,২৭২.৫০ পয়েন্ট। এদিন বাজারে সেনসেক্সের সর্বোচ্চ সূচক ছিল ৭৩, ৯০৫.৮০ পয়েন্ট। আর সর্বনিম্ন সূচক ছিল ৭৩,৩১৫.১৬ পয়েন্ট।
এদিন শেয়ারবাজারে সেনসেক্সের ৩০ সংস্থার মধ্যে ২৭ সংস্থাই লোকসানের মুখ দেখেছে। আর নিফটির ৫০ সংস্থার মধ্যে শেয়ারদর কমেছে ৪৫ সংস্থার। সেনসেক্সে নেসলে, মারুতি সুজুকি আর ভারতী এয়ারটেল শুধু লাভের মুখ দেখেছে। এই তিন সংস্থার শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। লোকসানের মুখ দেখেছে উইপ্রো, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, বাজাজ ফিনান্স, বাজাজ ফিনসার্ব ও টাটা মোটরস। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে শুরু হওয়া লড়াইয়ের কারণে আগামী কয়েকদিন শেয়ারবাজারে অস্থিরতা চলবে।