এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

প্রশ্ন ১৩ মিনিটের ব্যবধান, প্রশ্নের মুখে ‘কবচ’ও

নিজস্ব প্রতিনিধি: ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা(Coromondol Express Accident) ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সেই সব প্রশ্নের অভিমুখ অবশ্যই রেলমন্ত্রক(Rail Ministry)। যদিও সেই সব প্রশ্ন এখন সুকৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব(Ashwini Baishnab)। কার্যত দুর্ঘটনার কোনও দায়ই নিতে চাইছেন না রেলমন্ত্রী। গোটা বিষয়টি তিনি এখন তদন্ত সাপেক্ষ বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। খুব সহজে যে সেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে তাও বলা যাচ্ছে না। প্রথম প্রশ্ন ১৩ মিনিটের ব্যবধান কীভাবে কমে গেল? দ্বিতীয় প্রশ্ন, কবচ(Kavach) কেন কাজ দিল না? তৃতীয় প্রশ্ন LHB রেক(LHB Rake) কেন যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে পারল না? এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক টিম(Forensic Team)। তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। তবে প্রথম তিনটি প্রশ্নের উত্তর তাঁদের কাছেও নেই এই মুহুর্তে।

আরও পড়ুন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮০, যাচ্ছেন মমতা

১৩ মিনিটের ব্যবধান কী? জানা গিয়েছে করমন্ডল এক্সপ্রেস যে লাইনে দৌড়াচ্ছিল সেই লাইনেই তার আগে দৌড়াচ্ছিল একটি মালগাড়ি। শুক্রবার সন্ধ্যায় মালগাড়িটি খড়গপুর থেকে ছাড়ে। গন্তব্য ছিল ভদ্রক। সেই মাল্গাড়ি খড়গপুর ছাড়ার ১৩ মিনিট পরে খড়গপুর স্টেশন ছাড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মালগাড়ি এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেস একই লাইনে চলছিল ১৩ মিনিটের ব্যবধানে। কেন? এটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন। কেন এত কম ব্যবধানে দেশের একটি দুরন্ত গতির সামনে কেন একটি মালগাড়ি মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে চালানো হচ্ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজে যে মিলবে তা মনে হচ্ছে না। বালেশ্বর স্টেশন ছাড়িয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার যাওয়ার পরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রাথমিক অনুমান, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক যে ওই ১৩ মিনিটের গতির ব্যবধান কমিয়ে ফেলেছেন, তা তিনি বুঝতে পারেননি। তার কারণ সিগন্যালের ত্রুটি হতে পারে। হতে পারে সিগন্যাল দেওয়া হলেও চালক তা খেয়াল করেননি। অথবা একই লাইনে যে মালগাড়িটি রয়েছে, তা তিনি খেয়াল করেননি। সবটাই আপাতত শুধুই অনুমান।

আরও পড়ুন ১৪ বছর বাদে শুক্রবারে ওড়িশাতেই দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল

দ্বিতীয় প্রশ্ন, ‘কবচ’ কেন কাজ করল না? ঢাক ঢোল পিটিয়ে মোদি সরকার বহুল প্রচার করেছিল, ভারতীয় রেলের সব ট্রেনেই ‘কবচ’ প্রযুক্তি লাগু করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রযুক্তিতে কোনও চলন্ত ট্রেনের সামনে একই লাইনে ৫কিমির মধ্যে অন্য কোনও ট্রেন থাকলে তা পিছনের ট্রেনটিকে থামিয়ে দেবে। কিন্তু করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না। করমন্ডল সরাসরি গিয়ে ধাক্কা মারে মালগাড়ির পিছনে। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও তেমনটাই দাবি। সেই দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ করমন্ডলে আছড়ে পড়ে হাওড়াগামী হমসফর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেও ‘কবচ’ প্রযুক্তি কেন কাজে দিল না। এই প্রশ্নের উত্তর-ও যে সহজে মিলবে তেমনটাও মনে হচ্ছে না। তৃতীয় প্রশ্ন, মোদি সরকার ঢাক ঢোল পিটিয়ে ভারতীয় রেলে LHB রেক চালু করেছে। বলা হচ্ছিল এই রেক এতটাই নিরাপদ যে ট্রেন দুর্ঘটনার মুখে পড়লেও কামরার ভিতরে থাকা যাত্রীরা নিরাপদে থাকবেন। তাঁদের কোনও বিপদ হবে না। করমন্ডলের ৫-৬টি কামরা কার্যত দুমড়ে, মুচড়ে, তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁইছুঁই। এমনকি মনে করা হচ্ছে তা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। শতাধিক মানুষের দেহ কার্যত টুকরো টুকরো দেহাংশের রূপ নিয়েছে। তাহলে LHB রেক তাঁদের কোন নিরাপত্তা দিল? প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল, প্রশ্নের মুখে মোদি সরকার, প্রশ্নের মুখে যাত্রী নিরাপত্তা, প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেলের প্রযুক্তিও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জম্মুতে লাঠিতে ভর করে ভোট দিতে হাজির ১০২ বছরের হাজি করম দীন

১৭,০০০ ক্রেডিট কার্ড ব্লক করেছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের, কারণ শুনলে চমকে উঠবেন

বিহারের ভাগলপুরে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভোট দিলেন অভিনেত্রী নেহা শর্মা 

‘আমি ঘৃণার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি’, বেঙ্গালুরুতে ভোট দিলেন প্রকাশ রাজ

দিল্লি বিমানবন্দরে পাকড়াও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ভুয়ো পাইলট

১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট গণনার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর