নিজস্ব প্রতিনিধি, বালেশ্বর: রাতের নিস্তব্ধতাকে খান-খান করে দিচ্ছে আহত যাত্রী আর পরিজনদের আর্ত চিৎকার। আর একের পর এক অ্যাম্বুলান্সের হুটারের তীব্র সাইরেন। গ্যাস কাটার যন্ত্রের তীব্র শব্দে কারও কথাই ভালভাবে শোনা যাচ্ছে না। একের পর এক দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগি থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে আশঙ্কাজনক যাত্রীর রক্তাক্ত শরীর। বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টায় পাঠানো হচ্ছে অ্যাম্বুলান্সে চাপিয়ে। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলান্সের অভাব দেখা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে বড়-বড় বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই বাস গুরুতর আহত যাত্রীদের নিয়ে ছুটে চলল বিভিন্ন হাসপাতালের উদ্দেশে।
অ্যাম্বুলান্সের অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা। শুক্রবার গভীর রাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও সংগঠনগুলির কাছ থেকে অ্যাম্বুলান্স আনানো হয়েছিল। প্রায় ১৫০টি অ্যাম্বুলান্স ব্যবহার করা হয়েছে আহত যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু অ্যাম্বুলান্সের অভাব দেখা দেওয়ায় বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্যের প্রশাসনের কাছে অ্যাম্বুলান্স পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
পাশাপাশি বালেশ্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জায়গা না হওয়ার জন্য আশেপাশের সাতটি জেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব। তাঁর কথায়, ‘কোনও আহত যাত্রীর চিকিৎসায় যাতে খামতি না তাকে তার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভদ্রক-সহ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের আহতদের চিকিৎসার তদারকি করতে বলা হয়েছে।’ তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় করমণ্ডল, যশোবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ও মালবাড়ির ত্রিমুখী সংঘর্ষে কত যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি তিনি।