এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব, অবসান অধ্যায়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোম সকালেই অবসান হল দেশের রাজনীতিতে এক অধ্যায়ের। প্রয়াত হলেন সমাজবাদী পার্টির(Samajwadi Party) প্রতিষ্ঠাতা তথা উত্তরপ্রদেশের ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব(Mulayam Singh Yadav)। এদিন সকাল ৮টা ১৫মিনিট নাগাদ গুরুগ্রামের এক বেদান্ত হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল তাঁর ৮২ বছর। তাঁর পুত্র তথা উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব(Akhilesh Yadav) এদিন টুইট(Tweet) করে এই খবর জানিয়েছেন। মুলায়মের মৃত্যুতে জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মুলায়ম সিং যাদব বিগত দু’বছর থেকেই অসুস্থ ছিলেন। সেই অসুস্থতা বাড়ায় গত ২ অক্টোবর তাঁকে গুরুগ্রামের বেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাঁকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। সোমবার থেকে আরও অবনতি হয় মুলায়মের শারীরিক অবস্থার। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। তার পরে পরিস্থিতির আর উন্নতি হয়নি। হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। তিন দফায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুলায়ম। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০৩ থেকে ২০০৭। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি ছিলেন কেন্দ্রের দেবেগৌড়া সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ১৯৯৬ সালে প্রথম বার সাংসদ হন। ২০০৪ সালে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কারণে লোকসভা ভোটে দাঁড়াননি। ২০০৯ সাল থেকে আমৃত্যু সংসদের সদস্য ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে ‘নেতাজি’ বলে পরিচিত এই যাদব নেতা।

১৯৩৯ সালের ২২ নভেম্বর, অধুনা উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার সাইফাই গ্রামে জন্ম হয় মুলায়ম সিং যাদবের। বাবাসুঘর সিং যাদব। মা মূর্তি দেবী। পড়াশোনা শুরু হয়েছিল গ্রামের স্কুলেই। তার পর ইটাওয়ার ‘কর্মক্ষেত্র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ’ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। শিকোহাবাদের ‘একে কলেজ’ থেকে বিটি এবং আগরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিআর কলেজ’ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতির আবহে ঢুকে পড়েন অধুনা উত্তরপ্রদেশের ‘নেতাজি’। সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষায় অসাধারণ বক্তৃতা করার ক্ষমতা তাঁকে পাঁচ জনের মধ্যে আলাদা পরিচিতি দিয়েছিল সেই তখনই। ১৯৬৭-তে প্রথম বার ভোটে লড়েন মুলায়ম। যশবন্তনগর থেকে, সংযুক্ত সোশালিস্ট পার্টির টিকিটে। সংসদীয় রাজনীতিতে পথচলা শুরু হয় মুলায়মের। তার পর দল ভেঙেছে, অন্য দলে মিশে গিয়ে নতুন দল তৈরি হয়েছে, কিন্তু মুলায়মের সঙ্গে যশবন্তনগরের সম্পর্কে ছাপ পড়েনি। বস্তুত, এই কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবেই মুলায়ম ১৯৮৯-তে প্রথম বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। তখন তিনি জনতা দলের বিধায়ক। ১৯৯৩-তে আবার মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম। তার এক বছর আগেই অবশ্য তখন তিনি তৈরি করে ফেলেছেন সমাজবাদী পার্টি।

৯৬-এর লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। লোকসভা কেন্দ্রের নাম মইনপুরী। ভোটে জিতে দেবগৌড়া মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলান। ২০০৩-এ আবার ফেরেন লখনউ। আবার মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। উপনির্বাচনে গান্নউর থেকে জিতে আসেন। তৃতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরার পর মুলায়ম দিল্লির রাজনীতিতেই বেশি করে মনোসংযোগ করেন। তাঁর স্থায়ী আসন হয়ে দাঁড়ায় মইনপুরী। প্রবল মোদী হাওয়ার মধ্যেও ২০১৯-এ সেই কেন্দ্র থেকেই আবার জিতে আসেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ও বিজেপির একচেটিয়া আধিপত্য খর্ব করেছিলেন মুলায়ম। কাশীরামের ধারার রাজনীতি থেকে পৃথক সত্তা ধরে রেখে নিজের এক আলাদা পরিচয় বানিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের যাদব সাম্রাজ্যের নেতাজি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেবগৌড়ার নাতির হদিশ পেতে এবার ব্লু কর্নার নোটিশ সিবিআইয়ের!

দিল্লিতে আপের তারকা প্রচারকের তালিকায় তিহাড় বন্দি কেজরিওয়াল, সুনীতা

বিজেপিতে ঘর ওয়াপসি অরবিন্দর সিং লাভলির

বিজেপিতে যোগ দিলেন দুর্নীতির দায়ে জেল খাটা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী

কয়লা খনি দিবসে জেনে নিন খনি শ্রমিকদের কঠিন লড়াইয়ের কথা

দেরিতে স্কুলে আসায় শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর প্রধান শিক্ষিকার, যোগী রাজ্যের ঘটনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর