নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজধানীর প্রশাসনিক আধিকারিকদের বদলি ও পোস্টিং সংক্রান্ত অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের মামলা শুনানির জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হল। বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দিয়েছেন, মামলাটি শুনানির জন্য পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে। যদিও কোন সাংবিধানিক বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এক রায়ে জানিয়ে দিয়েছিল, রাজধানী দিল্লির প্রশাসনিক আধিকারিকদের বদলি ও পোস্টিং সংক্রান্ত ক্ষমতা থাকবে জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে। অর্থাৎ আম আদমি পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের হাতে। যদিও ওই রায়ের এক সপ্তাহের মাথায় রাতারাতি শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে অধ্যাদেশ জারি করে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই অধ্যাদেশে দিল্লির আমলাদের বদলি ও পোস্টিং সংক্রান্ত ক্ষমতা সরকারের ‘বিশ্বস্ত অনুচর’ উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এদিন মামলার শুনানিতে যেভাবে দিল্লির মুখ্যমমন্ত্রী ও উপরাজ্যপালের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। যেহেতু দিল্লি অধ্যাদেশের বিষয়টি সাংবিধানিক তাই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়া উচিত বলে জানিয়ে দেন তিনি। দিল্লি সরকারের আইনজীবী অভিষেক মণু সিঙ্ঘভি জানান, তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলাটির নিষ্পত্তির পক্ষে যথেষ্ট। সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলা পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।