নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি পদবি মামলায় সাজা স্থগিতের আর্জি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে ওই আর্জির শুনানির দাবি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির আইনজীবী অভিষেক মণু সিঙঘভি। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে আগামী ২১ জুলাই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গত শনিবারই গুজরাত হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। সুরাতের নিম্ন আদালত মানহানির মামলায় তাঁকে যে দুই বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছিলেন তা স্থগিতের আর্জি জানিয়েছিলেন।
পাঁচ বছর আগে কর্নাটকের কোলারে এক নির্বাচনী সভায় নীরব মোদি, ললিত মোদি, মেহুল চোকসিদের টাকা লুঠ করে দেশত্যাগ নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব চোরের পদবি কেন মোদি হয়?’ ওই মন্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে সুরাত আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন গুজরাতের সুরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। ওই মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের জেলের সাজা শোনান সুরাতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওই রায়ের পরের দিনই নজিরবিহীন তৎপরতায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদপদ খারিজ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
সুরাতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৩ এপ্রিল সুরাত সেশনস আদালতের দ্বারস্থ হন রাহুল। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও ২০ এপ্রিল রাজীব তনয়ের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। সেশনস কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন ওয়ানাডের প্রাক্তন সাংসদ। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি। অবশেষে দুই মাস কেটে যাওয়ার পরে গত ৭ জুলাই রায় দিতে গিয়ে রাহুলের আর্জি খারিজ করে দেন গুজরাত গহাইকোর্টের বিচারপতি। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।