এই মুহূর্তে




‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে খতম লস্কর জঙ্গি আবু জিন্দল-সহ ৫




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের মাটিতে অপারেশন সিঁদুর’ নামে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা।ওই সামরিক অভিযানে পাঁচ কুখ্যাত জঙ্গিকে খতম করে দেওয়া হয়েছে। খতম হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই -তৈয়বা’র আবু জিন্দল, জইশ-ই-মহম্মদের ইউসূফ আজহার-সহ আরও ৩ কুখ্যাত জঙ্গি। শনিবার (১০ মে) ভারতীয় সেনার তরফে কথা জানানো হয়েছে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত। যেখানে ২৫ জন পর্যটক এবং ১ কাশ্মীরিকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে পাক-জঙ্গিরা। মঙ্গলবার (৭ মে) গভীর রাতে পাকিস্তানের উপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যার নামকরণ দেওয়া হয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় সেনার এই সাফল্যে খুশি পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবার থেকে আপামর দেশবাসী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই নির্ভুল হামলায় শত শত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। যেখানে বসে পহেলগাঁও হামলার চক্রান্ত করেছিল কুখ্যাত জঙ্গিরা। প্রায় নয়টি জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে নির্ভুল হামলা চালায় ভারত, যাতে একেবারে ঠ্যাং খোড়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৫ কুখ্যাত সন্ত্রাসী। রয়েছেন, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী সংগঠন ‘লস্কর-ই-তৈয়বা’র মুদাসসার খাদিয়ান খাস ওরফে মুদাসসার ওরফে আবু জান্দাল। তিনি ছিলেন মারকাজ তৈয়বার ইনচার্জ। তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় জানাজার নামাজ একটি সরকারি স্কুলে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘গার্ড অফ অনার’ গ্রহণ দেওয়া হয়। আবার কুখ্যাত সন্ত্রাসীর শেষকৃত্যে পাক সেনাপ্রধান এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর (মরিয়ম নওয়াজ) পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ কওরে। এছাড়াও তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন পাক সেনাবাহিনীর কর্মরত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং পঞ্জাব পুলিশের আইজি। বলা চলে, সারম্বরে কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের বিদায় জানিয়েছে পাকিস্তান। যা কিনা গোটা জাতির কাছে লজ্জার বিষয়। এছাড়াও ‘অপারেশন সিঁদুর’ হামলায় খতম হয়েছেন জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য হাফিজ মুহাম্মদ জামিল। যিনি ছিলেন মাওলানা মাসুদ আজহারের বড় শ্যালক। এবং মারকাজ সুবহান আল্লাহ, বাহাওয়ালপুরের ইনচার্জ।

এছাড়াও এই হামলায় খতম হয়েছেন ‘জইশ-ই-মোহাম্মদ’-এর আরেক সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ আজহার ওরফে ওস্তাদ জি ওরফে মোহাম্মদ সেলিম ওরফে ঘোসি। তিনিও মাওলানা মাসুদ আজহারের শ্যালক ছিলেন। তিনি জেইএম-এর জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছেন। তিনি ছিলেন IC-814 ছিনতাই মামলায় ওয়ান্টেড। এরপর ৭ মে-র হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে খতম হয়েছেন খালিদ ওরফে আবু আকাশা। তিনি ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম সদস্য। তিনি আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফয়সালাবাদে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ফয়সালাবাদের ডেপুটি কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জইশ-ই-মোহাম্মদের আরেক সদস্য মোহাম্মদ হাসান খানও ভারতীয় সেনার হামলায় খতম হয়েছেন। যিনি ছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) জেইএম-এর অপারেশনাল কমান্ডার মুফতি আসগর খান কাশ্মীরীর ছেলে। যিনি ছিলেন পরিচালিত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার মূল চক্রীদের মধ্যে একজন। এছাড়াও পহেলগাঁও হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসী জড়িত রয়েছেন। এদিকে ‘জইশ-ই-মোহাম্মদ’ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪ সদস্যও ৭ মে’র হামলায় খতম হয়েছেন। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণ, কী বার্তা?

পরবর্তী অপারেশনের জন্য তৈরি, হুঙ্কার ভারতীয় সেনার

যুদ্ধের মধ্যেই ফের কেঁপে উঠল পাকিস্তান, ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প

প্রেমিকের সাহায্যে সন্তানকে খুন, ‘বাক্সবন্দি’ দেহ লোপাটের চেষ্টায় গ্রেফতার ২

যুদ্ধবিরতির জেরে শান্তির আবহ ভারত-পাক সীমান্তে

তালেবান সরকারের ‘জুলুমবাজি’, আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ ‘দাবা’ খেলা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর