নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি : নৃশংসভাবে হত্যা করা হল স্বামী, স্ত্রী এবং পরিচারিকাকে ৷ মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে ৷ কম্বলের তলায় ঘুমিয়ে থাকায় দুষ্কৃতীদের হত্যালীলা থেকে রেহাই পায় দম্পতির শিশুকন্যা ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, প্রতিহিংসা মেটাতেই এই হত্যাকাণ্ড ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব দিল্লির অশোকনগরের বাসিন্দা শালু আহুজা তাঁর তিন তলা বাড়ির এক তলায় একটি বিউটি পার্লার চালাতেন৷ কিছুদিন আগে তিনি তাঁর দুই কর্মীকে বরখাস্ত করেন৷ অভিযোগ ছিল, ওই দুই কর্মী ঠিকমতো কাজ করতেন না৷ পাশাপাশি ওই দুই কর্মী প্রেমের সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন৷ তাঁদের এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি শালু৷ তাই তিনি তাঁদের বরখাস্ত করেন৷ বহিষ্কৃত দুই কর্মীর সঙ্গে উত্তপ্ত কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন শালুর স্বামী সমীর আহুজাও৷ পুলিশের দাবি, কাজ হারিয়ে ওই জুটি এরপর হত্যার ষড়যন্ত্র করে৷ এর জন্য ছয় দুষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ চার যুবক বাইকে করে এসে আহুজা দম্পতির বাড়িতে ঢোকে৷
পরে গৃহকর্ত্রী শালু ও বাড়ির পরিচারিকা স্বপ্নার নিথর দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির একতলায়৷ গৃহকর্তা সমীর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন দোতলায়৷ তাঁর মুখে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ পুলিশের ধারণা, মাথায় ফ্রাইং প্যানের আঘাতে খুন করা হয় সমীরকে৷ শালু এবং স্বপ্নার দেহ উদ্ধার হয় গলার নলি কাটা অবস্থায়৷ আশ্চর্যের বিষয় হল, কম্বলের নীচে ঘুমন্ত আহুজা দম্পতির দু’বছরের মেয়েকে হত্যাকারীরা দেখতে পায়নি৷ তাই সে বেঁচে যায়। কিন্তু খুনের সময় ওই বাড়িতে থাকায় প্রাণ হারাতে হয়েছে পরিচারিকা স্বপ্নাকেও৷ কারণ অপরাধের সাক্ষী রেখে যেতে চায়নি অপরাধীরা৷ তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করেছে দুই অভিযুক্ত সমীর এবং সুজিতকে৷ মূল অভিযুক্ত ওই প্রেমিক জুটি-সহ বাকি চার জড়িত ব্যক্তির সন্ধানে চলছে পুলিশি তল্লাশি৷