এই মুহূর্তে




সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ অক্টোবর




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দুর্গাপুজোর ছুটির শেষে ফের আরজি কর মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আরজি করের তরুণী চিকি‍ৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। টানা কয়েক ঘন্টা ধরে চলে শুনানি। রাজ্য সরকার ও সিবিআইকে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশে যেমন জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের সব ধরণের পরিষেবা দিতে বলা হয়েছে, তেমনই তদন্তের আওতায় কারা রয়েছে, সেই তালিকা সিবিআইকে জমা দিতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে সমস্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সিসিটিভি বসানোর কাজও সম্পূর্ণ করতে বলেছে। শুনানি শেষে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর এই মামলার ফের শুনানি হবে।

এদিন বিকেল চারটের খানিকবাদে শুনানি শুরু হয় শীর্ষ আদালতে। শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন। বহির্বিভাগ ও অন্য ক্ষেত্রে পরিষেবা দিচ্ছেন না তাঁরা। সঠিক পরিষেবা না পাওয়ায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ওই কথায় আপত্তি জানান জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। মক্কেলদের আড়াল করতে তিনি দাবি করেন, প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তখন প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কেন শুধু প্রয়োজনীয় পরিষেবা কথা বলা হচ্ছে? তা হলে কি সব চিকি‍ৎসক সব ডিউটি করছেন না? জবাবে ইন্দিরা জানান, জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা জরুরি পরিষেবায় রয়েছেন। জরুরি পরিষেবার মধ্যে ওপিডি ও আইপিডি উভয়ই পড়ে। এর পরেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্য ক্ষেত্রগুলি-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা কাজ করবেন জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা।

এদিন শুনানিতে জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, ‘এটা সাধারণ খুন ও ধর্ষণের ঘটনা হিসাবে দেখলে ভুল হবে। আমাদের কাছে চার জনের নাম রয়েছে। দু’জনের নাম আমরা সিবিআইকে দিয়েছি। তদন্তের আওতায় আসা হাসপাতালের সাত জনকে আপাতত সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করার নির্দেশ দেওয়া হোক।’ তিনি যুক্তি দেখান, ‘তদন্তের আওতায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা এখনও হাসপাতালে কাজ করছেন এবং তাঁরা প্রভাব খাটাতে পারেন।’ রাজ্যের আইনজীবী জানান, তরুণী চিকি‍ৎসককে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি যত প্রভাবশালীই হোন না কেন, কারা সিবিআইয়ের তদন্তের তালিকায় রয়েছে সেই তালিকা পাওয়া গেলেই তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তখনই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, কারা তদন্তের আওতায় রয়েছেন তাঁদের নাম সিবিআই রাজ্যকে দিলে পদক্ষেপ করতে হবে।

শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবীর কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, মেডিকেল কলেজগুলিতে নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে? রাজ্যের আইনজীবী তখন জানান, ‘উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতির কারণে কাজ কিছুটা থমকে গিয়েছে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো এবং শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে।’ সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাতে কাজ সম্পূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।’

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বোমা রাখা হয়েছে খবর শুনেই তড়িঘড়ি কানাডায় অবতরণ Air India বিমানের

৯ বছর পর পাকিস্তানে পা রাখলেন বিদেশমন্ত্রী, যোগ দেবেন SCO সম্মেলনে

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

মহারাষ্ট্রে বিধানসভার ভোট ২০ নভেম্বর, ফল ২৩ তারিখ

চিন-পাকিস্তানের রক্তচাপ বাড়ছে, ২৬ হাজার কোটি দিয়ে ৩১ Predator drones কিনছে ভারত

৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণার জেরে নৌ আধিকারিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের FIR

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর