নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : সেই নয়ডা। সেই মহিলা। সেই নিরাপত্তারক্ষী।
কিছুদিন আগে আবাসনের দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় এক নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল নয়ডার এক মহিলার বিরুদ্ধে। ওই মহিলাকে পরে গ্রেফতারও করা হয়। ফের সেই নয়ডাতেই একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক মহিলা আবাসনের একজন নিরাপত্তারক্ষীকে সপাটে চড় মারছেন। অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত মহিলা অধ্যাপিকা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি শনিবারের। ঘটনাটি কোতওয়ালি এলাকার একটি আবাসনের। অভিযুক্ত মহিলার নাম সুতপা দাস। তিনি পেশায় অধ্যাপিকা। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, আবাসনের গেটের সামনে দিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি চলে যাওয়ার পর সুতপা এগিয়ে এসে আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষীর গালে সপাটে চড় মারছেন। এইসঙ্গে ওই নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বচসাতেও জড়ান। একাধিকবার ওই তরুণের উপর হাত তোলেন সুতপা। ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়চড়ে বসে নয়ডা প্রশাসন। অভিযুক্ত সুতপা দাসের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রহৃত নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে এই নয়ডাতেই এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বচসায় জড়ান। আবাসনের দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় দায়িত্ব থাকা নিরাপত্তারক্ষী তিনি মারধরও করেন। ভাব্যা রায় নামের ও মহিলা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে আবাসনের দরজার সামনে আসেন। সেখানে সামান্য দেরি হওয়ার কারণে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ থেকে শুরু করে জাত তুলে কুমন্তব্য, কিছুই বাদ দেননি ভাব্যা। এমনকী একজন নিরাপত্তারক্ষীকে কলার ধরে মাটিতে ফেলে দেন। সেই সঙ্গে চিৎকার করে বলতে থাকেন, মহিলাদের সম্মান কর।