নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ৬ জনকে মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ছয় জনের মধ্যে রয়েছে নলিনী ও আরপি রবিচন্দ্রনের মতো টাইগাররা। এছাড়া মুক্তি পাচ্ছে, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। এরা সকলেই রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত। ২৩ বছর পর এরা মুক্তি পেল। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে শ্রীপেরুমবুদুরে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দায়ে এই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালত তাদের সাজা ঘোষণা করে। তারপর ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট ৬ জনকে মুক্তি দিল।
তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে ২১ মে ১৯৯১ সালে সভা করছিলেন রাজীব গান্ধী। সেই সময়ই তাঁর ওপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণ করা হয়। জানা যায়, যে ব্যক্তি এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান তিনি হলেন ধানু। ঘটনায় কাঠগড়ায় নাম উঠে আসে এলটিটিই বা লিবারেশন অফ তামিল ইলাম সংগঠনের। যারা শ্রীলঙ্কায় কার্যত ত্রাস হয়ে উঠেছিল। শ্রীলঙ্কায় কার্যত তামিলদের এই সংগঠন ক্রমেই নেতিবাচক কারণে উঠে আসতে থাকে খবরের শিরোনামে। এদিন মুক্তি পেয়ে নলিনী বলেন, ‘এই রায়ে আমি খুশি। আমি জঙ্গি নই’।
দক্ষিণ ভারতে ১৯৯১ সালের ভোটের জন্য প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাহুল গান্ধী। ততদিনে গান্ধী পরিবার দেখেছে ইন্দিরা গান্ধীর ভয়ানক হত্যাকাণ্ড। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে রাজীব যখন প্রচারে মত্ত ছিলেন তখনই ভারতের শান্তি বাহিনী শ্রীলঙ্কায় নিজের অপারেশনে ছিল। সেই সময়ই এলটিটিইর নলিনী সহ একাধিক সদস্য রাজীব হত্যাকাণ্ডের অংশ হয়ে ওঠে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উঠে আসে সাজায় ক্ষমাপ্রদর্শনের ইস্যু। রাজীব-তনয়া সোনিয়া গান্ধী আগেই রাজীব হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় তাদের। এরপরই আজ, ১১ নভেম্বর ২০২২ সালে ভারতের শীর্ষ আদালত ৬ জনকে এই মামলায় নিঃশর্ত মুক্তির নির্দেশ দিল।