নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সর্ষের মধ্যেই ভূত! বায়োমেট্রিকে থাকা শনাক্তকরণ সংক্রান্ত প্রমাণের সঙ্গে আঙুলের ছাপ কিংবা চোখের মণির মিল খুঁজে না পাওয়ায় ৫০ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। সন্দেহ করা হচ্ছে, অন্য কেউ ওই ৫০ কর্মীর হয়ে চাকরি পরীক্ষায় বসেছিলেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।
শনিবার তিহাড় জেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওয়ার্ডেন, মেট্রন ও সহকারী সুপার পদে মোট ৪৫০ জনকে নিয়োগ করেছিল দিল্লি সাবঅর্ডিনেট সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড (ডিএসএসবি)। নিয়োগকৃত ওই ৪৫০ জনের বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত নথি ও শনাক্তকরণ প্রমাণ মিলিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল ডিএসএসবি। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ প্রমাণ মিলিয়ে দেখা হয়। ৫০ জনের ক্ষেত্রে গরমিল পাওয়া যায়। বায়োমেট্রিকের সঙ্গে তাদের আঙুলের ছাপ কিংবা চোখের মণি’র মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই অনিয়মের দায়ে তাদের চাকরি থেকে তাড়ানো হয়েছে।
তিহাড় জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়োমেট্রিক গরমিলের কারণে যে ৫০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩৯ জন ওয়ার্ডেন, ৯ জন সহকারী সুপার এবং ২ জন মেট্রন। দুই বছরের প্রভিশন পিরিডের শর্তে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।