নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কৃষি ভবনের সামনে অবস্থানে অনড় তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের বাইরে বাংলার শাসকদলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, কৃষি ভবনের সামনেই ধর্না দেওয়া হবে। দিল্লির কর্মসূচির কোনও পরিবর্তন ঘটছে না। অর্থাৎ যন্তরমন্তরে ধর্নার বিষয়ে দিল্লি পুলিশের অনুমতিতে খুশি নয় ঘাসফুল শিবির।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘নববজোয়ার’ কর্মসূচিতে বেরিয়েই ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেন, ২ অক্টোবর জাতির জনক গান্ধিজির জন্মতিথিতেই কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে কৃষিভবনের সামনে অবস্থানে বসা হবে। সেই মতো ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীর রামলীলা ময়দানে ধর্নায় বসার অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও রামলীলা ময়দানে ধর্নার অনুমতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি অমিত শাহের অধীনস্ত দিল্লি পুলিশ।
এদিন আচমকাই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যন্তরমন্তরে ধর্নার অনুমতি দেওয়া হবে। যদিও এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্নায় বসার ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করবেন। তার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে তৃণমূলের কর্মসূচির কোনও পরিবর্তন হবে না।’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘২ অক্টোবর রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদরাও সঙ্গে থাকবেন।’ ইতিমধ্যেই দিল্লির কৃষিভবনের সামনে ধর্নায় হাজির থাকার জন্য রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাপতি থেকে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পয়লা অক্টোবরের মধ্যেই দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।