নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যোগী প্রশাসনের শত বাধা পার করে শেষমেশ লখিমপুরে পৌঁছেই গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের ৩ জন সাংসদ লখিমপুরের খেরিতে পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা হলেন দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবীররঞ্জন বিশ্বাস। অন্যদিকে পথ আটকানো হয়েছে কাকুলি ঘোষ দস্তিদার এবং সুস্মিতা দেবের। ফলত তাঁরা লখনউতে ফিরে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। রবিবার সেখানে ৮ জন কৃষককে পিষে মেরে ফেলেছে মন্ত্রীর কনভয়। অন্তত এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। মনে করা হচ্ছে, যে এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন এতজন সেই গাড়িতে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র দেশজুড়ে জ্বলছে বিদ্রোহের আগুন। লখিমপুরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা এবং বিরোধী কোনও নেতা নেত্রীকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। রবিবার রাতেই লখিমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। কিন্তু ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লখিমপুরের এই নৃশংস হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করে জানিয়েছিলেন, লখিমপুরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি টুইট করতেও দেখা যায়, যেখানে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে লখিমপুর খেরিতে। কৃষকদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে লখিমপুর খেরিতে যাচ্ছেন তাঁরা। কৃষক ভাইদের প্রতি বিজেপির বিরূপ মনোভাবে আমি ব্যথিত। কৃষকদের প্রতি সবসময় নিঃশর্ত সমর্থন থাকবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই মঙ্গলবার সকালে উত্তরপ্রদেশ পৌঁছান সাংসদ দোলা সেনসহ আরও ৪ জন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে দোলা সেন জানান, ‘লখিমপুরের খেরিতে মৃত কৃষকদের পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা। উত্তরপ্রদেশ তথা সমগ্র দেশের মানুষের ওপর যেভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে তা এককথায় নজিরবিহীন।’ এরপরেই খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। সেখানে গিয়ে তাঁরা মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।’