নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি:বিতর্কিত তিন বিল বিচারাধীন থাকাকালীন আন্দোলন করা যায় কি না, সুপ্রিম কোর্ট তা খতিয়ে দেখবে। রাজস্থান কৃষকদের সংগঠন কিষাণ মহাপঞ্চায়েত সর্বোচ্চ আদালতে যন্তর-মন্তরে তাদের প্রস্তাবিত বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছে। সোমবার শীর্ষ আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছিল।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত আর্জি, যন্তর-মন্তরে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করতে চাইছে। সেখানে কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক জড়ো হবেন। শীর্ষ আদালত যেন দিল্লি প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
শুনানির সময় সরকার রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের উদাহরণ টেনে জানায়, কৃষক আন্দোলনের জেরে লখিমপুরে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। তাই, এই ধরনের আন্দোলন না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২১ অক্টোবর।
সুপ্রিম কোর্ট এখন বিচার করে দেখবে, বিতর্কিত তিন কৃষি বিল নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পর সেই বিলের প্রতিবাদে কৃষকেরা আন্দোলন করতে পারে কি না।
উল্লেখ করা যেতে পারে, রবিবার কেন্দ্রের আনা তিন বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন একদল কৃষক। উপমুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে চাপা পড়ে দুই কৃষক। সেই ঘটার রেশ আজও রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ কার্যত জ্বলছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এর আগে একটি মামলার শুনানিতে আন্দোলনরত কৃষকদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এএম খানউইকলকর এবং বিচারপতি
জানায়, তাদের বিক্ষোভ-কর্মসূচির জেরে শহর কার্যত অবরুদ্ধ। তারা এখন শহরে প্রবেশ করে শহরকেও অবরুদ্ধ করে দিতে চাইছে। সেই সঙ্গে আদালতের পর্যেবক্ষণ, কেন্দ্র ইতোমধ্য়ে জানিয়েছে, সরকার ওই তিন বিতর্কিত বিল কার্যকর করছে না। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট ওই আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তারপরেও এই আন্দোলন কেন?