নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর সিকিমের নাথু-লায় (Nathu La) ভয়াবহ তুষার ধসের (Avalanche) কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন সাত পর্যটক। মৃত পর্যটকদের মধ্যে দু জন বাংলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তুষার ধসের ফলে জখম হয়েছেন ১৩ জন পর্যটক। আহত ১৩ জনের মধ্যে সাত জনই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সিকিম সরকার।
সিকিম সরকারের তরফে বিপর্যয়ে মৃত ৭ জনের নামের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে এক শিশু ও দুই মহিলা রয়েছেন।পশ্চিমবঙ্গের যে দু জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে তুষার ধসে তাঁদের নাম সৌরভ রায়চৌধুরী (২৮) এবং প্রীতম মাটি (৩৮)। প্রীতমের বাড়ি কলকাতায়। তবে সৌরভের বাড়ি কোথায় তা এখনও জানা যায়নি। তুষার ধসের ফলে মৃত্যু হয়েছে শিব লামিচানে এবং আশিকা ঢাকাল নামের নেপালের দুই বাসিন্দার। দু’জনেই নেপালের চিতওয়ানের বাসিন্দা। নেপালের রুপান্ডির আরেক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। নাম মুনা শাহ শ্রেষ্ঠা। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বাল সিংহ (৩২) এবং রেবিয়া সিংহ (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের দেহ বাড়ির ঠিকানায় পাঠিওয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিকিম সরকার।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার বেলা সোয়া বারোটা নাগাদ গ্যাংটক থেকে নাথু লা যাওয়ার পথে ১৫ মাইলে হঠাৎই পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ির উপর তুষারধস আছড়ে পড়ে। যার ফলে গাড়িতে থাকা ১৫ পর্যটক খাদের দিকে ছিটকে যান৷ দুর্ঘটনার পরেই উদ্ধারকার্য শুরু করেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাত জন পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ১৪ পর্যটককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সেনার বেস ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর উদ্ধারকাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। এখনও কোনও পর্যটক বরফের নীচে আটকে রয়েছেন কি না সেই খোঁজে বুধবার আবার উদ্ধারকাজ চালানো হবে।