নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিহারে আসন সমঝোতা ঘোষণার পরেই এনডি্এ’তে ভাঙন। কোনও আসন না জোটায় মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পশুপতি পারস। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মোদির মন্ত্রিসভা ছাড়ার ঘোষণা করেন রাষ্ট্রীয লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান। যদিও নিজের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই তথা হাজিপুরের বিদায়ী সাংসদ।
গত সপ্তাহেই বিহারে এনডিএ’র আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে তখন কিছু না জানানো হলেও চর্চা চলছিল, আসন্ন লোকসভা ভোটে চিরাগ পাসোয়ানের দলকে পাঁচটি আসন ছাড়ছে বিজেপি। আর পাঁচ সাংসদের দল পশুপতি পারসকে কোনও আসন ছাড়া হচ্ছে না। তাঁকে রাজ্যপাল পদে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই চর্চার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এনডিএ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পারস। জানিয়েছিলেন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করবেন।
গতকাল এনডিএ’র পক্ষ থেকে বিহারে চূড়ান্ত আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, ১৭ আসনে লড়বে বিজেপি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল লড়বে ১৬ আসনে। চিরাগ পাসোয়ানের দলকে পাঁচটি আসন ছাড়া হয়েছে। আর একটি করে আসনে লড়বে উপেন্দ্র কুশায়াহা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাজির দল। আসন সমঝোতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই পশুপতি পারসের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টির নেতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে নাম না করে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছেন পশুপতি পারস। তাঁর কথায়, ‘আমার দলের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এনডিএ’র শরিক দল হিসাবে থাকার পরে এমন আচরণ আশা করিনি।’