নিধি, লখনউ: বিধানসভা ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তরপ্রদেশে বিজেপিতে ভাঙন চওড়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন আরও দুই বিধায়ক। পদত্যাগী দুই বিধায়ক হলেন আর কে ভার্মা ও চৌধুরী অমর সিং। তার মধ্যে আরকে ভার্মা প্রতাপগড় জেলার বিশ্বনাথগঞ্জ ও চৌধুরী অমর সিং সিদ্ধার্থনগরের শোহরানগড় থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ নিয়ে গত তিনদিনে যোগী সরকারের তিন মন্ত্রী ও আট বিধায়ক ইস্তফা দিলেন।
শুধু তাই যোগী মন্ত্রিসভা থেকে যিনি প্রথম ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে ভাঙনের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন সেই স্বামীপ্রসাদ মৌর্য এদিনই হুমকি দিয়েছেন, ‘মকর সংক্রান্তির দিন থেকে অর্থাৎ শুক্রবার থেকে লখনউতে যে সুনামি আছড়ে পড়বে, তাতে খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে বিজেপি। বিধানসভা ভোটে যোগী আদিত্যনাথের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়া শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা। আগামী কয়েকদিনে আরও বিধায়ক দল ছাড়বেন।’ যদিও কোন-কোন বিধায়ক বিজেপিকে ‘গুডবাই’ জানাচ্ছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চাননি তিনি।
বিধানসভা ভোটের মুখে যেভাবে একের পর এক মন্ত্রী ও বিধায়ক দল ছেড়ে যাচ্ছেন তা বিজেপির অন্দরে হাড়কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। অনেক নেতা-কর্মী আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। অনেকেই নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখতে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘যেভাবে একের পর এক দলিত ও পিছড়ে সম্প্রদায়ের মন্ত্রী-বিধায়ক দল ছাড়ছেন, তা অবশ্যই দলের জন্য অশনিসঙ্কেত। শুধুমাত্র উচ্চবর্ণের ভোটারদের উপরে ভরসা করে উত্তরপ্রদেশে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল অসম্ভব।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘মুসলিমদের পাশাপাশি দলিতদের ভোট একত্রিত করে বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করতে পারে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি।’