নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জম্মু ও কাশ্মীর কবে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে কেন্দ্রের কাছে সেই জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কবে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট হবে? কবেই বা রাজ্যের ম,র্যাদা ফিরে পাবে? শীর্ষ আদালতের প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। ৩৭০ ধারা রদ করা হয়। রাজ্যের তকমা হারায়। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীরকে এবং লাদাখে পরিণত করা হয়। এই সিদ্দান্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। সোমবার ছিল আর্টিকেল ৩৭০ ধারা নিয়ে শুনানির ১১ তম দিন।
কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান, জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পদক্ষেপ একটি “অস্থায়ী ব্যবস্থা”। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভবিষ্যতে একটি রাজ্য হিসাবে ফিরিয়ে আনা হবে। লাদাখ একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে থাকবে।
মঙ্গলবার শুনানিপর্বে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’র কবে স্থায়ী সমাধান হবে? কবে জম্মু ও কাশ্মীর আবার রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে, সে বিষয়ে সময়সীমা জানাক কেন্দ্র। গণতন্ত্র উদ্ধার করা গুরুত্বপূর্ণ’’।
গত ২ জুলাই থেকে ৩৭০ ধারা নিয়ে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক শুনানি। এদিনের শুনানিতে ৩৫এ অনুচ্ছেদ নিয়েও পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালত জানায়, কাশ্মীরের বাসিন্দা নয়, এমন ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ।