এই মুহূর্তে




নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব! আগামী বছর বিধানসভার ভোট হলেও অসমে হচ্ছে না SIR

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক ‘প্রভু’দের নির্দেশ মেনেই যে তাঁরা চলছেন, সোমবার (২৭ অক্টোবর) তা পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন ‘বিতর্কিত’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এদিন বিজ্ঞান ভবনে ঢাকঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) শুরু করার কথা জানিয়েছেন। মূলত আগামী বছর এখানে বিধানসভা ভোট রয়েছে সেই সব রাজ্যেই এসআইআর শুরু করা হচ্ছে। তবে তালিকায় নাম নেই বিজেপি শাসিত অসমের। কেন অসমকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হল তা নিয়ে চরম হাস্যকর ব্যাখ্যা দিয়েছেন জ্ঞানেশ কুমার। কী বলেছেন তিনি? প্রধান নির্বাচন কমিশনারের যুক্তি , ‘আইনে অসমের নাগরিকত্বের জন্য আলাদা বিধান রয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বৈধ নাগরিকদের যাচাইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই সেখানে এনআরসি পরিচালিত হয়েছে। সুতরাং, অসমে SIR-এর জন্য পৃথক আদেশ জারি করা হবে।’ , তার ওই কথা শুনেই হাসাহাসিতে মেতে ওঠেন সাংবাদিকরা।

বিজ্ঞান ভবনে এদিন ঢাকঢোল পিটিয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ‘প্রথম পর্যায়ে বিহারে সফলতার সঙ্গে এসআইআর সম্পন্ন হয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন জরুরি। তাই ১২ রাজ্যে এসআইআর শুরু করা হচ্ছে। যাতে নিবিড় সমীক্ষার কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য প্রতি বুথ পিছু একজন করে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) থাকবেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না।তবে যারা অবৈধ ও অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন, তাদের কারও নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাডু, পুদুচেরি, লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, গুজরাত গোয়া, আন্দামান নিকোবর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ  ও ছত্তিশগড়ে এসআইআরের কাজ চলবে।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,  ‘সোমবার রাত বারোটা থেকেই ভোটার তালিকা ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে। আগামিকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে এনুমেরেশন ফর্ম ছাপা এবং বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এই তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। অভিযোগ শোনা এবং খতিয়ে দেখার কাজ চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ‘বৈধ ভোটারদের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না যায় তার জন্য বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও তিন-তিনবার প্রতি ভোটারের বাড়িতে পৌঁছবেন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিল্লি বিস্ফোরণে নাম জড়ানো আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেফতার করল ইডি

হাসিনার ফাঁসির রায়ের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লিতে ইউনূসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা  

মোদির হাতে বিলাসবহুল ‘রোমান বাঘ’ ঘড়ি, দাম ও বিশেষত্ব শুনলে চমকে যাবেন

ইউনূস সরকারের ইন্ধনে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, বাংলাদেশ যাচ্ছেন না হরমনপ্রীত-রিচারা

মর্মান্তিক! অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত নবজাতক, চিকিৎসক সহ ৪

ফের বোমা হামলার হুমকি! দিল্লিতে সিআরপিএফ স্কুল ও একাধিক আদালতে হুমকি মেল জৈশ-ই-মহম্মদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ