নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ শিবসেনা বিধায়কের সদস্যপদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারভেকর। সেই সঙ্গে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতিও দিয়েছেন। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
বুধবার সন্ধেয় একনাথ শিন্ডে-সহ শিবসেনার (শিন্ডে গোষ্ঠী) ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আর্জি নাকচ করে দেন রাহুল নারভেকর। ওই সিদ্ধান্তের ফলেই মুখ্যমন্ত্রীর গদি বেঁচে যায় শিন্ডের। মহারাষ্ট্র বিধানাসভার অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত শোনার পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। ওই সাংবাদিক সম্মেলনেই বিধানসভা অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র। তাঁর কথায়, ‘অধ্যক্ষ বলেছেন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিক্ষুব্ধরাই আসল শিবসেনা। তাছাড়া ২০১৮ সালে দলের গঠনতন্ত্রের সংশোধন গ্রহণযোগ্য নয়। যদি তাই হবে, তাহলে কেন আমাদের বিধায়ক পদ খারিজ করলেন না?’
শিবসেনায় ভাঙন ধরানোর পুরস্কার হিসাবে বিজেপির সমর্থনে ২০২২ সালেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে আসীন হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এমনকী ওই রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ পদে বসেছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল নারভেকর। গতকাল মঙ্গলবারই অধ্যক্ষ কতটা নিরপেক্ষভাবে শিন্ডে সেনার বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবারই আমি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম, গণতন্ত্রকে খুন করার পরিকল্পনা চলছে। এদিনের রায়ে স্পষ্ট আমার আশঙ্কা অমূলক ছিল না। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রায় দিয়েছেন অধ্যক্ষ। আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হব।’