নিজস্ব প্রতিনিধি: মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কালামনা থানায় এক ১৯ বছরের তরুণী গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে মঙ্গলবার সকালে। এরপরই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় নাগপুর শহরে। নড়েচড়ে বসে নাগপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। এরপর দিনভর হন্যে হয়ে চলল খোঁজ। নাগপুরের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমারের নেতৃত্বে প্রায় হাজারখানেক পুলিশকর্মী-আধিকারিক এই গণধর্ষণকারীদের খোঁজে নেমে পড়েন। শহরের প্রায় ২৫০টি সিসিটিভি ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখা হল। কিন্তু কোনও কিনারা করতে পারলেন না তদন্তকারীরা। শেষ পর্যন্ত ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায় তাঁর সঙ্গে ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এরপরেই জেরায় উঠে এল আশ্চর্যজনক তথ্য। প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়েই ওই তরুণী গণধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছিল।
পুলিশের দাবি, ওই তরুণী অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, নাগপুরের চিখালি এলাকায় এক নির্জন স্থানে তাঁকে দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি জোর করে ধর্ষণ করে। সোমবার ভোরে সে গানের ক্লাসে যাচ্ছিল, সসময় একটি সাদা গাড়িতে এসে দুজন তাঁর কাছ থেকে একটি ঠিকানা জানতে চায়। এরপরই তাঁকে জোর করে ওই গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় চিখালি এলাকায় এবং পরপর ধর্ষণ করে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি, ওই তরুণী প্রেমিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও প্রকৃত কারণ জানতে ওই তরুণীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।