নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পতঞ্জলির ধোঁকা বিজ্ঞাপন নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়লেন যোগগুরু রামদেব।মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানউল্লাহের বেঞ্চ খানিকটা ব্যঙ্গের সুরে পতঞ্জলির কর্ণধারকে বলেন, ‘আপনি তিন বার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন। আদালতে কী ঘটছে তা সম্পর্কে আপনি ওয়াকিবহাল নন, এতটা সাদাসিধে নন আপনি।’ বিচারপতিদের তীব্র তিরস্কারের মুখে যোগগুরুর আইনজীবী জানান, পতঞ্জলির ধোঁকা বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে রাজি আছেন রামদেব। যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিচারপতিরা। তবে মামলার শুনানি আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।
করোনা অতিমারির সময়ে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের উদ্দেশে মশকরা করার পাশাপাশি কোভিড প্রতিরোধের নামে করোনিল নামে এক ওষুধ বাজারজাত করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রামদেব। অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের(আইএমএ) তরফে মামলা ঠোকা হয় শীর্ষ আদালতে। ওই মামলাতে এর আগে একাধিকবার শীর্ষ আদালতের তিরস্কারের মুখে পড়েছিলেন রামদেব ও তার স্যাঙাত বালকৃষ্ণ। বিপাকে পড়ে দু’-দুবার হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন দুজনেই। কিন্তু রামদেব ও তার সৃআঙাতের ক্ষমা প্রার্থনা খারিজ করে দেন বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানউল্লাহ।
এদিন মামলার শুনানির শুরুতেই রামদেবের উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, ‘আপনি যে অপরাধ করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। আদালতের কাছে সবাই সমান। কে সমাজে নামী আর কে অনামী তা দেখে বিচার হয় না। আপনার চরম ভুলকে আমরা ক্ষমা করে দেব কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আপনি যা বলছেন তা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয় আমাদের কাছে। আদালতে কী ঘটপছে তা আপনি জানেন না এতটা সরল সোজা নন আপনি।’