এই মুহূর্তে




কনকাঞ্জলি দেন পুরুষরা! স্বপ্নাদেশে শুরু পালবাড়ির পুজো

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : চারিদিকে শুধু পুজো পুজো রব। পুজোর কথা মনে হলেই মনে পড়ে বনেদি বাড়ির পুজোর কথা। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বনেদি বাড়ির পুজো। সত্যিই এই পুজো যেন ঐতিহ্য। ইতিহাস যেন এখানে কথা বলে। তেমনই প্রত্যেক বছর উমার আগমনে সেজে ওঠে পালবাড়ি। এই বাড়ির পুজো প্রায় ৪০০ বছরে পড়ল। তবে পাল বাড়ির দুর্গা পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এখানে প্রতিমা তৈরি করে পুজো হয় না। বরং দেবীর পটচিত্র অঙ্কন করে তারপর পুজো শুরু হয়।

হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত চুঁচুড়ার পালবাড়ির দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। পালবাড়িতে পটচিত্রের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা চলে আসছে বহু বছর ধরে। এটি বাংলার এক সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। এই অনন্য বৈশিষ্টই পালবাড়িতে চলে আসছে।

কীভাবে শুরু হয়েছিল দুর্গা পুজো : পালবাড়ির কুলদেবতা হলেন রাধামাধব গোপাল জীউ। এই দেবতা এবং দেবমূর্তি পালবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন বংশের পূর্বপুরুষ সেবক রামপালের সময়ে। শোনা যায়, কোনও এক সাধু সেবক রামপালকে কুলদেবতা হিসেবে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি উপহার দিয়েছিল। তবে সেবক রামপালের তৎকালীন আর্থিক সংকটের কারণে তিনি এই দেবমূর্তিগুলি ঘরে বন্দি করে রাখেন।

পরে একদিন স্বপ্নাদেশে তাঁকে কুলদেবতার পুজো করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর্থিক অবস্থা উন্নতির বরও দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই পাল বাড়িতে শুরু হয় রাধাকৃষ্ণের পুজো। সেবক রামপাল ধীরে ধীরে বিপুল ধন-সম্পদের অধিকারী হন। এরপর থেকেই পালবাড়িতে দুর্গাপুজারও প্রচলন শুরু হয়। কিন্তু অন্যান্য বনেদি বাড়ির পুজার মতো এখানে কখনোই প্রতিমা আনা হয় না। মায়ের পূজা হয় পটচিত্রের মাধ্যমে।

কনকাঞ্জলি দেন পুরুষরা :  সেই সূদুর অতীত থেকে পালবাড়ির দুর্গাপুজোর বেশ কিছু বিশেষ নিয়মাবলি রয়েছে, যা আজও মেনে চলা হয়। এই পুজোর আচার-অনুষ্ঠান বিশেষভাবে পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমন মাকে নৈবেদ্য সাজানো থেকে শুরু করে কনকাঞ্জলি দেওয়া এবং পুজোর শেষ আচার-বিসর্জন পর্যন্ত সবকিছুই পাল পরিবারের পুরুষরা করে থাকেন। পুজো শেষে কুলদেবতা রাধামাধব তাঁদের মন্দিরে ফিরে যান এবং পটচিত্রটি পুজোর পরে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

উল্লেখ্য,পুজোর দিনগুলোতে পাল পরিবারের সকলে একত্রিত হয়ে মায়ের পুজোয় অংশ নেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন বাড়ির সমস্ত সদস্য একত্রে খাওয়া-দাওয়া এবং উৎসবে মেতে ওঠেন। পালবাড়ির পুজো দেখতে অনেকেই ছুটে আসেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশের যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীকে দেওয়া মোদির সোনার মুকুট চুরি

গল্প নয় সত্যি, মাত্র এক টাকায় মিলছে নতুন জামা-কাপড় থেকে চাল-ডাল

ফের ধর্মীয় রোষ! উত্তরপ্রদেশে ‘ডাণ্ডিয়া’ অনুষ্ঠান থেকে তাড়ানো হল ‘মুসলিম’ সঞ্চালিকাকে

সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান ক্যাং

যোগীরাজ্য গম চুরির সন্দেহে ৩ দলিত কিশোরকে মাথা ন্যাড়া করিয়ে ঘোরানো হল গ্রামে

ছেলে-মেয়েকে নিয়ে প্যাণ্ডেল হপিং শুভশ্রীর, কাজের ফাঁকে পরিবারকে আগলে রাখছেন রাজ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর