এই মুহূর্তে




নিয়ম মেনে আজও নীল দুর্গার পুজোয় হয় শত্রু বলি ! জানেন কী কোথায়




নিজস্ব প্রতিনিধি : হাতে আর একদমই সময় নেই বলা চলে। এখন শুধু প্রহর গোনা বাকি। এর পরেই শুরু হবে মাতৃ আরাধনা। উমা বাপের বাড়ি আসছে বলে কথা.. ভক্তি আপ্যায়নে কোন ত্রুটি রাখে না ভক্তরা। প্রত্যেক বছর বাঙালিরা অপেক্ষা করে থাকে কবে আসবে উমা। তেমনই মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠে কৃষ্ণনগর নাজিরা পাড়ার চ্যাটার্জি বাড়ি। এই বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল দেবী দুর্গা এখানে অপরাজিতা রূপে পুজিত হন। এখানে দেবীর গায়ের রঙ নীল। তবে এই চ্যাটার্জি বাড়ির অপর নাম হল নীল দুর্গা বাড়ি। এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস।

তবে এই বাড়ির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এখানে বলি প্রথা বন্ধ হয়নি। পশু বলির বদলে এখন শত্রু বলি দেওয়া হয়। এই নিয়ে পরিবারের এক সদস্য  চঞ্চলবাবু বলেন, ‘চালের পিটুলি বানিয়ে সেটিকে কাল্পনিক শত্রু মনে করে বলি দেওয়া হয়।’ 

আজ থেকে প্রায় ২৯২ বছর আগে এই পুজোর প্রচলন হয়। চ্যাটার্জি বাড়ির নীল দুর্গার বাম পাশে থাকে লক্ষ্মী। লক্ষ্মীর পাশেই থাকে কার্তিক ও সরস্বতীর সঙ্গে থাকে গণেশ। যা অন্য আর কোন দুর্গা প্রতিমার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় না। বরিশাল জেলার বামরাইল গ্রামে প্রায় ২৯২ বছর আগে এই পুজোর প্রচলন শুরু হয়।

ইতিহাস : বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বামমরাইল গ্রামে প্রথমে দুর্গা প্রতিমা অতসী রুপে পুজিত হতেন। তবে দুর্গা মূর্তি তৈরি করার সময় দায়িত্বে থাকা মৃৎশিল্পী এক ভয়ানক ভুল করে ফেলে। প্রতিমা তৈরি করার সময় ভুলবশত দেবীর গায়ের রং অতসী বর্ণের বদলে নীল বর্ণের করে ফেলেন। এরপর সকলে ভাবে এতো সাংঘাতিক কান্ড,এর ফল হয়তো ভাল হবে না। তাই কেউ পুজো করেন নি প্রথমে। এরপর গভীর রাতে চ্যাটার্জি বাড়ির একজন সদস্যকে দেবী দেখা দেন। স্বপ্নাদেশে পুনরায় পুজো চালু করার জন্য আদেশ দেন।স্বপ্নাদেশ দিয়ে দেবী জানান,তাঁর এই নীল রুপেই পুজো করা হোক। এরপর থেকে নীল বর্ণের দুর্গা প্রতিমা পুজিত হয়ে আসছে চ্যাটার্জি বাড়িতে।

আরও পড়ুন : কোথাও লাল, কোথাও নীল! দেবী দুর্গার গায়ের রং আসলে কী জানেন ?

প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর সেজে ওঠে চ্যাটার্জি বাড়ি। পুজোর আগে মোষ ও পাঠা বলি হত। পূর্বে বলির প্রচলন ছিল। তবে বর্তমানে এই বলি প্রথা আর নেই। এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর তিন দিন দেবীকে বিভিন্ন মাছের তৈরি উপকরণ তৈরি করে ভোগ নিবেদন করা হয়।

সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত নয় প্রকার ভাজা দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়ার প্রচলন রয়েছে নীল দুর্গা বাড়িতে। এইসময় বহু ভক্তরা এসে ভিড় করে দুর্গাপুজো দেখার জন্য। বলা যেতে পারে, নদিয়ার অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হল নীল দুর্গাপুজো। এই নীল দুর্গা বাড়িতে অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটে পুজোর কটা দিন।

উল্লেখ্য, ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৭ সালে চ্যাটার্জি পরিবার বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ভারতবর্ষে চলে আসেন। ১৯৪৮ সাল থেকে  চ্যাটার্জি বাড়ি প্রতিবছর শারদীয়াতে নীল দুর্গার পুজা শুরু করেন কৃষ্ণনগরে।

আরও পড়ুন : নীলকন্ঠ পাখি আসলে কে ? জানেন কী প্রতিমা বিসর্জনের আগে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় কেন




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দশমীতে ইছামতীর তীরে জমজমাট এক দিনের বউ মেলা, তবে নিষিদ্ধ পুরুষ ক্রেতা

ফরিদপুরে একই মণ্ডপে ২৫১ দুর্গা প্রতিমা দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়

পুজো শেষে দুপুরে জমিয়ে খান ওল-চিংড়ি: সহজ রেসিপিতে রসনা তৃপ্তি করুন ঘরেই

মুম্বইতে দুর্গার বিদায় পর্বে জমিয়ে সিঁদুর খেললেন রানি-কাজলরা

৩০০ বছর ধরে সিংহবাহিনী দেবী রূপে পুজিতা হয়ে আসছেন এই রাজবাড়িতে

পান্তা ভাত-কচু শাক খেয়ে কৈলাসে পাড়ি দেন এই বনেদি বাড়ির উমা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর