সুব্রত রায়: দুর্গাপুজোর কদিন কলকাতা পুলিশের প্রায় ১৭০০০ পুলিশ কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে রাস্তায় থাকবে। শহরের ন’টি ডিভিশনকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষ নজরদারি বলয়। শনিবার সকাল থেকে কলকাতার বড় পুজো মন্ডপগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে, রাস্তায় নামেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার )শুভঙ্কর সিনহা সরকার, কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ সহ উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা।
কলেজ স্ট্রিটে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার যে গেট তা কতটা উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার ।শুধু তাই নয়, দর্শকদের ভিড়ের ওপর কিভাবে নজরদারি চালানো হবে এবং কোথায় কোথায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হবে, তাও চিহ্নিত করেন পুলিশ কমিশনার। এর পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট মোড় সংলগ্ন একডালিয়া এভারগ্রীন ক্লাবের পূজা মন্ডপে যান পুলিশ কমিশনার। সেখানেও পুলিশি নিরাপত্তা বলয় কিভাবে গড়ে তোলা হবে এবং মন্ডপে প্রবেশ ও বাহির গেটে কি ধরনের নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা করা হচ্ছে তা নিজে খতিয়ে দেখেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বড় পুজো মণ্ডপ গুলিতে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার ওসি কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক মিনি কন্ট্রোলরুম থাকবে পুজোর ক’দিন। চতুর্থী থেকেই কলকাতায় ভিড় সামলাতে রাস্তায় নামবে পুলিশ ।শহরে যান চলাচল উৎসবের দিনগুলিতে সচল রাখতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থাকছে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি সতর্কীকরণ প্রচার ক্যাম্প। বড় পুজো মণ্ডপ গুলিতে পুজোর ক’দিন ডগ ও বোম স্কোয়ার্ডের তল্লাশি অভিযান জারি থাকবে।