নিজস্ব প্রতিনিধি: আকাশের প্রেক্ষাপটে এক নজরে কাঞ্চনজঙ্ঘা, কাব্রু ও পাণ্ডিম শৃঙ্গ। নীচে অপরূপ তিস্তার অপার সৌন্দর্য আর চোখের শান্তি দেওয়া সবুজে মোড়া চা বাগান। এক ঝলকে পেডংয়ের বর্ণনা দিতে হবে এটাই। নগরের কোলাহল থেকে অনেকটা দূরে নিরিবিলি কয়েকটা দিন ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা।
চারদিকে ওক, পাইন, বার্চ গাছের ঘন ছায়া আর চোখের সামনে শান্ত চা বাগানের নিসর্গতা। দূরে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বয়ে চলেছে সুন্দরী তিস্তা। সবমিলিয়ে একটা নস্টালজিক ভিউ। পেডং, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম সীমান্তে প্রায় ৫০০০ ফুট উচ্চতায় এক নির্জন পাহাড়ি গ্রাম। পেডংয়ের মূল আকর্ষণ এখানকার ক্রস হিল, যেখান থেকে এক নজরে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ কাব্রু ও পাণ্ডিম শৃঙ্গ।
দার্জিলিং বা কালিম্পং তো অনেকেই ঘুরেছেন। তাঁরা এবার পেডং ঘুরে আসুন একটু আলাদা স্বাদ পেতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও পেডংয়ে রয়েছে একটি মনাস্ট্রি, রামি ভিউপয়েন্ট, সাইলেন্ট ভ্যালি, সাংচেন দোরজি গুম্ফা, দামসাং দুর্গ এবং একটি পুরনো গির্জা। ফলে ঘুরে দেখার ও হাত পা ছড়িয়ে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেওয়ার জন্য পেডংয়ে পেয়ে যাবেন অনেক কিছুই। রামি ভিউপয়েন্ট ও ক্রসহিল পয়েন্ট থেকে স্বপার্ষদ কাঞ্চনজঙ্ঘা ধরা দেয় আকাশ পরিস্কার থাকলেই।
এরসঙ্গে ইতিহাসের হাতছানিও রয়েছে। যেমন সাংচেন দোরজি গুম্ফা, যা ভুটানিদের হাতে তৈরি। ১৮৩৭ সালে তৈরি প্রাচীন পেডং মনাস্ট্রিও দেখে মন ভরে যাবে। আবার ফরাসি বণিকদের তৈরি সেক্রেড হার্ট গির্জাও আপনার মন ভরিয়ে দেবে। পাশেই আছে দামসাং ফোর্ট। এখানকার পরিবেশও দারুণ সুন্দর। একটু চোখ মেললেই দূরে দেখা যায় তিব্বত।
কীভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন
হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে ট্রেন ধরে চলে আসুন নিউ জলপাইগুড়ি। এখান থেকে শেয়ার জিপ ও বাসে চলে আসুন কালিম্পং। এনজেপি থেকে পেডংয়ের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। তবে কালিম্পং থেকে এর দূরত্ব মাত্র ২২ কিমি। কালিম্পং থেকে শেয়ার জিপ ধরে পেডং চলে আসুন। এছাড়া এনজিপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করেও চলে আসা যায় পেডং। থাকার জন্য এখানে বহু হোম স্টে এবং রিসর্ট আছে। ইন্টারনেটে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই খোঁজ পেয়ে যাবেন। খরচ মাথাপিছু ৮০০-১৫০০ টাকা প্রতিদিন।