এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বায়না নেই, দিনমজুরির কাজই একমাত্র ভরসা ঢাকিদের!

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: করোনা আর লকডাউনের সাঁড়াশি চাপে দিশেহারা ঢাকিরাও। ঢাক ছেড়ে এখন অধিকাংশ ঢাকিই বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। বেশিরভাগ ঢাকিই এখন দুই বেলা পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন তুলছে লেগে পড়েছেন দিনমজুরির কাজে। গত দু’বছর ধরে প্রায় একই অবস্থা। অনেকেই আবার পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

মালদা জেলার কালিয়াচক ২-এর রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে নওগাঁ এলাকার একটি পাড়াজুড়ে প্রায় ৫০টি ঢাকি পরিবারের বসবাস। করোনাকালের আগে তাদের খুব একটা অভাব-অনটন ছিল না। বিগত দিনে ভিন রাজ্য যথা— দিল্লি , মুম্বই , মধ্যপ্রদেশ , উত্তরাখণ্ড, আসাম, ঝাড়খন্ড, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যের ঢাক বাজানোর মোটা টাকা পেতেন। যার দরুন পরিবারের লোকেরাও কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পুজোর কটা মাস কাটাতেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে করোনা সংক্রমণের জেরে এখন জেরবার অবস্থা ওইসমস্ত ঢাকি পরিবারগুলির।

বায়না না মেলায় এখন কেউ ঠিকা শ্রমিক। আবার কেউ রাজমিস্ত্রির কাজে সহযোগী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। কেউ বা করছেন জুতো সেলাই। অনেকের হাতে আবার একেবারেই কাজ নেই। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অনেক পরিবার। এই অবস্থায় কি করবেন, কিছুই ভেবে উঠতে পারছেন না তাঁরা। তাই মালদার ঢাকিদের সরকারি সহযোগিতার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কাছে বিভিন্নভাবে দরবার করেছেন অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা।

নওদা ঢাকিপাড়া এলাকার এক ঢাকি উত্তম রবিদাসের কথায়, ‘আগে সারাবছর ধরেই বায়না পেতাম। পুজোর সময় ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতাম। সেখানে মোটা টাকা আয় হত। কিন্তু করোনার জন্য গতবছরের মতো এবারও ভিনরাজ্য থেকে কোনও বায়না আসেনি।’ এলাকার আরও এক ঢাকি বাবলু রবিদাস বলেন, ‘বাপ-ঠাকুরদার আমল থেকে বহন করে নিয়ে আসা প্রাচীন এই শিল্প এখন তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। চরম আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটছে আমাদের মতো অসহায় পরিবারগুলির। সরকারি কোনও সাহায্য পেলে কোনওমতে সংসারটা সামাল দেওয়া যাবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

১০০০ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে টোটোতে চাপিয়ে ঠাকুর দেখাল হাবড়া পুরসভা

লক্ষী ভাণ্ডারের টাকা দিয়ে মহিলা সমিতির দেবী দুর্গার আরাধনা

সংস্কৃত মন্ত্র পাঠে মৃন্ময়ী আগমনী বার্তা সুন্দরবনের মহিলা পুরোহিতদের

বরানগরে মা দুর্গার চক্ষুদান হবে দৃষ্টিহীন শিশুদের হাতে

হলদিয়ার প্রতিমা শিল্পী নূর মহম্মদ চৌধুরী তাক লাগিয়ে দিয়েছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর